রোহিঙ্গা জনবিস্ফোরণ রুখতে নসবন্দির পরিকল্পনা বাংলাদেশ সরকারের
নিজস্ব প্রতিবেদন: রকেটগতিতে রোহিঙ্গাদের জনসংখ্যাবৃদ্ধি আটকাতে নাসবন্দি করার পরিকল্পনা করছে বাংলাদেশ সরকার। অগাস্টে রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে মায়ানমার সেনা। তারপর থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেছে প্রায় ৬ লক্ষ রোহিঙ্গা। কিন্তু যেভাবে রোহিঙ্গাদের জনসংখ্যা বাড়ছে, তাতে চিন্তিত বাংলাদেশ সরকার। একেই খাদ্যসামগ্রী বাড়ন্ত। এর উপরে অতিরিক্ত বোঝা চাপবে।
কক্সবাজার জেলার পরিবার পরিকল্পনা দফতরের প্রধান পিন্টুকান্তি ভট্টচার্য জানিয়েছেন, জন্মনিয়ন্ত্রণ নিয়ে রোহিঙ্গাদের মধ্যে সচেতনার অভাব রয়েছে। সবারই বড় পরিবার। এক একজনের তো ১৯টি সন্তান রয়েছে। একের বেশি স্ত্রীও রয়েছে রোহিঙ্গা পুরুষদের। সম্প্রতি রোহিঙ্গাদের জন্ম নিয়ন্ত্রণে বিনামূল্যে কন্ডোম বিতরণ শুরু করেছিল প্রশাসন। তবে তাতে তেমন সাড়া মেলেনি। মাত্র ৫৪৯টি কন্ডোম বিলি করা গিয়েছে।
ওদিকে রোহিঙ্গাদের বংশবৃদ্ধির হার দেখে উদ্বিগ্ন চট্টগ্রামের পরিবার পরিকল্পনা দফতর। সরকারের কাছ থেকে রোহিঙ্গাদের নসবন্দি করানোর অনুমতি চেয়েছে তারা। তবে পরিবার পরিকল্পনা প্রকল্পে সামিল হতে ইতিমধ্যে অস্বীকার করেছে রোহিঙ্গারা। সংবাদমাধ্যমে রোহিঙ্গারা দাবি করেছে, বড় পরিবারই তারা চায়। এমনকি জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইসলাম বিরোধী বলেও মত রোহিঙ্গাদের।
স্বেচ্ছাসেবী ফারহা সুলতানার কথায়, অনেক মহিলার সঙ্গে কথা বলেছি। তাদের মধ্যে সাতটি বাচ্চার মা সাবুরা জানিয়েছেন, তিনি স্বামীর সঙ্গে এব্যাপারে কথা বলেছিলেন। তবে তাঁর স্বামী আপত্তি জানিয়েছেন। এমনকি কন্ডোমও ব্যবহার করেননি। তাঁর স্বামী উলটে জানিয়েছেন, খাবারের কোনও অভাব হবে না।
অগাস্টের পর থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী ৬ লক্ষ রোহিঙ্গার মধ্যে ২০ হাজার মহিলা গর্ভবতী। তাদের মধ্যে ৬০০ জন ইতিমধ্যে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। বাংলাদেশের পরিবার কল্যাণ দফতর মনে করছে, পুরুষদের নসবন্দি করানো ছাড়া রোহিঙ্গা জনবিস্ফোরণ রোখার অন্য কোনও পথ খোলা নেই তাদের কাছে।
আরও পড়ুন, রোহিঙ্গাদের সঙ্গে পাক জঙ্গিদের যোগ, সতর্ক করল গোয়েন্দা সংস্থাগুলি