Russia-Ukraine War: মার্কিনি চোখ-রাঙানিতে `ভয় পেয়ে`ই কি শেষমেশ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এই সিদ্ধান্ত নিল চিন?
বেজিং মস্কোকে যুদ্ধ-সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করলে `পরিণতি`তে যা ঘটবে তা তাদের ভোগ করতে হবে বলে শুক্রবার চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিন পিংকে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোনও দুটি দেশের যুদ্ধ তো শুধু দুটি দেশের নয়, বিশ্বের সমস্ত দেশই কোনও না কোনও ভাবে এতে জড়িয়ে পড়ে। বিশ্বে নানা জরুরি সমীকরণ তৈরি হয়। সেই সমীকরণেই জড়িয়ে পড়েছে ভারত-চিন-আমেরিকা-ব্রিটেনের মতো দেশগুলি। এরই প্রেক্ষিতে জানা গেল চিন রাশিয়াকে অস্ত্রসাহায্য পাঠাবে না।
যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূত কিন গ্যাং জানিয়ে দিলেন, ইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার সমর্থনে অস্ত্র-গোলাবারুদ পাঠাবে না চিন। তবে তারা বিষয়টি নিয়ে মুখ ঘুরিয়েও থাকবে না। সঙ্কট সমাধানে সব ধরনের প্রচেষ্টা চালাবে। বেজিং মস্কোকে যুদ্ধ-সরঞ্জাম দিয়ে সহযোগিতা করলে 'পরিণতি'তে যা ঘটবে তা তাদের ভোগ করতে হবে বলে শুক্রবার চিনের প্রেসিডেন্ট জি জিন পিংকে সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। আর তার পরই যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চিনের রাষ্ট্রদূতের এই মন্তব্য।
মস্কোকে অস্ত্র সহায়তা দেওয়ার খবর নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনকে আগেই 'গুজব' বলে নাকচ করে দিয়েছিল বেজিং। তবে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের নিন্দা জানাতে অনীহা দেখিয়ে আসছে চিন। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই রাশিয়াকে অর্থ-অস্ত্র দিয়ে সহায়তার বিষয়ে চিনকে কার্যত হুঁশিয়ারিই দিয়ে আসছে পশ্চিমি দেশগুলি। আর বেজিং বরাবরই বিষয়টি অস্বীকার করে এসেছে। মস্কোও বলছে, ইউক্রেনে সামরিক অভিযান সম্পন্ন করতে পর্যাপ্ত সামরিক সরঞ্জাম তাদের রয়েছে। কোনো অস্ত্র-সহায়তা তাদের প্রয়োজন নেই।
তবে বেজিং যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানালেও মস্কোর নিন্দা জানানো থেকে বিরতই থেকেছে। জাতিসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদে মস্কোর নিন্দা জানিয়ে আনা প্রস্তাবেও ভোটদান থেকে বিরত ছিল চিন।
আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: রুশ বোমায় বিধ্বস্ত ইউক্রেনের স্কুল, ভেতরে আশ্রয় নিয়েছিলেন ৪০০ জন