নিজস্ব প্রতিবেদন: সমস্যা সমাধানের পথ তো নেইই।  বরং জট আরও শক্ত হচ্ছে রাশিয়া-ইউক্রেন (Russia Ukraine) দ্বিপাক্ষিক ক্ষেত্রের। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন যে রাশিয়ার তরফে শান্তি সমন্বয়ের বিশেষভাবে আর কোনও চেষ্টা করা হচ্ছে না। অন্যদিকে, এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমাত্রো কুলেবা বলেন যে, তারা রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলের হস্তক্ষেপ দাবি করছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী বলেন, "আমাদের প্রেসিডেন্টের ইচ্ছানুসারে আমি রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের জানাচ্ছি যে, বুদাপেস্ট মেমোরান্ডামের আর্টিকল ৬ অনুসারে  কিছু বিষয় যেন ঠিক করা হয়৷ যার মাধ্যমে সেনা প্রত্যাহার ও ইউক্রেনেএ সুরক্ষাকে স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নিয়ে আসা যায়।" 


অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী সের্গেই শোইগু বলেন, "ইউক্রেন দেশের পূর্ব সীমান্তে বিশেষ বাহিনী তৈরি করছে।  তারা সে বাহিনী প্রত্যাহার না করলে সেনা সরাবে না রাশিয়াও।" এদিকে, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে টানটান উত্তেজনার পর রাশিয়ার তরফে জানান হয়েছে  কিছু সেনা তারা প্রত্যাহার করেছে সীমান্ত থেকে৷ ইউক্রেন সীমান্তের কাছে মহড়া শেষ করে কিছু সেনা তাদের ঘাঁটিতে ফিরে যাচ্ছে, এমনটাই জানান হয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে।


যদিও ইউক্রেন রাশিয়ার তৎপরতা নিয়ে এখনও সদুত্তর দেয়নি। ইউক্রেনের বিদেশমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন রাশিয়া সত্যিই সৈন্য সরাচ্ছে কি না, তা চোখে দেখার পর তারা বলতে পারবেন। এর আগে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে নারাজ ইউক্রেন সরকার।


তবে রাশিয়ার মত, সেনা প্রহরা কিংবা মহড়া কোনও যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করা কিংবা ইউক্রেনকে হুঁশিয়ারি দেওয়ার জন্য নয়। তারা এই প্রশীক্ষণ করেই আসেন৷ এক কূটনৈতিক বিষয়ক অধ্যাপকের কথায়, এটি প্রেসিডেন্ট পুতিনের নতুন চাল। এর মাধ্যমে সীমান্তে উত্তেজনা পরিস্থিতি রাখবেন তিনি৷ কখনও সে উত্তাপ বাড়াবেন কখনও আবার তা কপমিয়ে দেবেন। কিন্তু সীমান্ত সমস্যা চিরতরে মেটানোর পক্ষে হাঁটবেন না তিনি, এমনটাই মত৷


আরও পড়ুন, International Mother Language Day: রাস্তায় মানুষের ঢল, মাতৃভাষা দিবসে ফুলে-গানে ভাষা শহিদদের শ্রদ্ধা বাংলাদেশে


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)