নিজস্ব প্রতিবেদন: বাংলায় একটা কথা খুব চালু আছে-- লঙ্কায় রাবণ মরল, বেহুলা কেঁদে আকুল হল! এটা আসলে একটা তির্যক বাক্যপ্রয়োগ। যে ঘটনার প্রভাব যেখানে পড়ার কথা নয়, তেমন কিছু ঘটার আশঙ্কা থাকলে বা ঘটলে ব্যঙ্গ করে এই ধরনের কথা বলা হয়ে থাকে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই মুহূর্তে এই কথাটি আপাতভাবে ইতালির পশুপালন সেক্টরের ক্ষেত্রে খেটে যাচ্ছে হয়তো। কেননা, ইউক্রেনে যুদ্ধ লাগায় ইতালিতে মরতে বসেছে গরু!


ব্যাপার কী? 


ইতালিতে বহু খামার রয়েছে। সেই সব খামারে দুধ উৎপাদনের লক্ষ্যে বিপুল সংখ্যক গো-পালন করা হয়। এ জন্য সে দেশে গো-খাদ্যের চাহিদাও বিপুল। কিন্তু এই মুহূর্তে সেই দেশে যে পরিমাণ গোখাদ্য আছে তা আগামি ২৫-৩০ দিনের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা সে দেশের খামার পরিচালকদের। 


গো-খাদ্য হিসেবে গম ও ভুট্টাই জনপ্রিয় ইতালিতে। ইতালিতে পশুখামার গুলির জন্য মাসে ৯০ লাখ টন ভুট্টা প্রয়োজন হয়। কিন্তু সে দেশে উৎপাদিত হয় ৬০ লাখ টন। বাকিটা আমদানি করতে হয়। যে সব দেশ থেকে এই খাদ্যশস্য আমদানি করতে হয় তার সিংহভাগই আসে ইউক্রেন থেকে। কিন্তু ইউক্রেনে যুদ্ধ লাগায় এখন আর গোখাদ্য আমদানি করা যাচ্ছে না। ফলে খামারগুলিতে গরুগুলি প্রায় স্বল্পাহারেই রয়েছে। যুদ্ধ চলতে থাকলে এবং তার জেরে বহির্দেশগুলি থেকে ভুট্টাদানা আমদানি না করতে পারলে ইতালির খামারগুলিতে গরুগুলি তীব্র খাদ্যসঙ্কটে পড়বে। এই খাদ্যসঙ্কট মেটাতে গেলে আরও ৩ লাখ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ করে এই ঘাটতি পুষিয়ে দিতে হবে। কিন্তু সেটা করা রাতারাতি সম্ভব হচ্ছে না।


তাই পশুখামার কর্তৃপক্ষেরা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যদি এরকমই চলতে থাকে সেক্ষেত্রে অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাদের খামারে খাদ্যভাবে অপুষ্টিতে ভোগা রুগ্ন গরুগুলিকে মেরে ফেলতে হবে তাদের।


আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: হিটলারও যাঁকে মারতে পারেননি, পুতিন তাঁকে অনায়াসে 'মেরে ফেলতে' পারলেন!


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)