Russian Attack in Ukraine: আশঙ্কাই সত্য হল? রুশ হামলায় ইউক্রেনে স্বাধীনতাদিবসেই মৃত্যু ২২ জনের
Russian Attack in Ukraine: ইউক্রেনের এক রেলস্টেশনে রুশ রকেট হামলায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রুশ হামলার ছমাস পূর্তির দিনেই হামলার ঘটনাটি ঘটেছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের চ্যাপলিন শহরে একটি গাড়িতে পাঁচজন পুড়ে মারা গিয়েছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তা হলে কি ইউক্রেনের গত কয়েকদিনের আশঙ্কাই সত্য়ি হল? ইউক্রেনের রেলস্টেশনে রাশিয়ার হামলায় মারা গেলেন ২২ জন! কদিন ধরেই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট রাশিয়ার আক্রমণের আশঙ্কার কথা বলছিলেন। তবে তিনি বলেছিলেন 'ভয়াবহ' কোনও হামলার ছক কষছে রাশিয়া। সেটা হয়নি। সেই তুলনায় মোটামুটি ছোট আকারের একটা হামলা হয়েছে বলেই বলছে সংশ্লিষ্ট মহল। ইউক্রেনের একটি রেলস্টেশনে রুশ রকেট হামলায় ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইউক্রেনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, রুশ হামলার ছমাস পূর্তির দিনে হামলার এই ঘটনাটি ঘটেছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের চ্যাপলিন শহরে একটি গাড়িতে পাঁচজন পুড়ে মারা গেছেন। এঁদের মধ্যে একজনের বয়স ১১ বছর। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাষ্ট্রসঙ্ঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের মাঝেই এই হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। যদিও এই হামলা নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি রুশ কর্তৃপক্ষ। ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে বরং রেল স্টেশন বা ওই জাতীয় অসামরিক কোনও অঞ্চলকে লক্ষ্যবস্তু করার বিষয়টি আগাগোড়াই অস্বীকার করা হয়েছে।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দানিপ্রো ও দোনেৎস্ক-এর মাঝে চ্যাপলিনে হামলার বিষয়টি জেনেছেন তিনি। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে কথা বলার প্রস্তুতি নেওয়ার সময়েই হামলার এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে বিশেষ করে উল্লেখ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, এভাবেই রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের প্রস্তুতি নিল রাশিয়া।
ক্ষয়ক্ষতি সম্বন্ধে জেলেনস্কি বলেন, একটি ট্রেনের চারটি বগিতে আগুন লেগে যায়, হতাহত মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে। এর আগে এপ্রিল মাসে রেলস্টেশনে আরেকটি হামলার ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় সে সময়ে ৫০ জন নিহত হয়েছিলেন।
বুধবার ইউক্রেন তাদের স্বাধীনতা দিবস পালন করে। স্বাধীনতা দিবস হলেও বুধবার সকাল থেকেই বাসিন্দাদের যে কোনও ধরনের হামলার ব্যাপারে সতর্ক করতে কিয়েভে সাইরেন বাজানো চলতে থাকে। এ ছাড়া আগে থেকেইি কিয়েভে জনসমাবেশের উপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছিল কর্তৃপক্ষ।
রুশ আগ্রাসনের মধ্যেই এবারে ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবস পড়েছিল। দিনটির বিপুল তাৎপর্য ইউক্রেনীয়দের জীবনে। তবে কোনও অনুষ্ঠান হবে না, সরকারি ভাবে তা আগেই ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছিল। এবারে শুধু কিয়েভের রাজপথে ইউক্রেনীয় বাহিনীর হাতে ধ্বংস হওয়া রুশ সামরিক যানবাহনগুলির প্রদর্শন হয়। একের পর এক ধ্বংস হওয়া রুশ কামান, রুশ সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে চলে শোভাযাত্রা। সাধারণ মানুষ ধ্বংস হওয়া সেই সব রুশ সামরিক যানের সঙ্গে ছবিও তোলেন। স্পষ্টতই রাশিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র অবজ্ঞা প্রদর্শনের জন্যই এই শোভাযাত্রার আয়োজন হয়েছিল।
ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবসে সেই দেশের প্রধান প্রধান শহরগুলিতে নতুন করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে রাশিয়া, এমন একটা সতর্কতা গত কয়েকদিন ধরেই অবশ্য কিয়েভ থেকে জারি করা হয়েছিল। তবে এদিন অনেক ইউক্রেনীয়ই জাতীয় পোশাক পরেছিলেন। জামায় সুতোর কাজে আঁকা ছিল দেশের জাতীয় প্রতীক।