নিজস্ব প্রতিবেদন— গত দুসপ্তাহে তিনজন রুশ ডাক্তার হাসপাতালের জানালা থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। তাঁদরে মধ্যে দুজন মারা গিয়েছেন। একজন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি। কেন এমন করছেন রাশিয়ার ডাক্তাররা! রাশিয়ার একাধিক হাসপাতাল সূত্র জানাচ্ছে, বহু ডাক্তারের মধ্যে আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা দিচ্ছে। কিন্তু কেন এমনটা হচ্ছে! রাশিয়ায় এখন করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। ইতালি, আমেরিকা, ব্রিটেনের পর করোনা থাবা বসিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশে। একদিনে সেখানে দশ হাজার মানুষের সংক্রমিত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল। আর এই পরিস্থিতি সামাল দিতে চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের হিমশিম খাওয়ার মতো অবস্থা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে নেমে রাশিয়ার ডাক্তারদের মধ্যে অস্বাভাবিকতা দেখা দিয়েছে। অনেকেই এর জন্য কাজের পরিবেশকে দায়ি করছেন। কিছু আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রাশিয়ার ডাক্তারদের অত্মহত্যার প্রবণতা ট্র্যাজেডি বলে ব্যাখ্যা করেছে। অনেকে বলেছেন, করোনভাইরাস চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ডাক্তারদের মারাত্মক দ্বন্দ্ব চলছে। রাশিয়ার চিকিত্সক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সরকার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নিপীড়নের শিকার বলেও আন্দাজ করা হচ্ছে। একেবারে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে কাজ করতে নেমে তাই অনেক চিকিত্সক মানিয়ে নিতে পারছেন না। 


আরও পড়ুন— করোনা আবহে পাঁচ জনের একজন শিশু অভুক্ত আমেরিকায়, চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট


দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট জানিয়েছে, রুশ ডাক্তাররা ভয়ানক চাপের মধ্যে কাজ করছেন। অদৃশ্য শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেমে পর্যাপ্ত সুরক্ষা তাঁরা পাচ্ছেন না। এছাড়া সরকার ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অমানসিক চাপ ডাক্তাররা মেনে নিতে পারছেন না। ভোরোনেজ শহরে অ্যাম্বুলেন্সে জরুরি চিকিৎসা দিতেন আলেক্সান্ডার শুলেপভ। গত শনিবার তিনি হাসপাতালের জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়েন। আশঙ্কাজনক অবস্থা তাঁর। তাঁর দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছিল। চিকিৎসার জন্য শুলেপভকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অসুস্থ শরীর নিয়েও তাঁকে কাজ করতে বাধ্য করা হয় বলে অনেকে জানিয়েছেন। এর আগে সাইবেরীয় শহর ক্রাসনোইয়ারস্ক-এর একটি হাসপাতালের জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়েন চিকিৎসক এলেনা নেপোমনিয়াশছায়া। এক সপ্তাহ ধরে আইসিইউতে চিকিৎসার পর তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে স্টার সিটির ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল সার্ভিসের প্রধান নাতালিয়া লেবেদেভা হাসপাতালের জানালা থেকে লাফিয়ে গুরুতর আহত হয়েছিলেন। পরে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান তিনি। তিনিও করোনা আক্রান্ত ছিলেন বলে ডাক্তাররা সন্দেহ করেছিলেন।