ওয়েব ডেস্ক: সাহারা মরুভূমি মানুষের তৈরি। চাঞ্চল্যকর দাবি সিওল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের। মানুষই ক্রমাগত গাছ কেটে সাফ করেছে। ফলে একটু একটু করে কমে এসেছে বৃষ্টি। ধীরে ধীরে সবুজের জায়গা নিয়েছে বালি আর বালি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


১০,০০০ বছর আগে সাহারা অঞ্চল সবুজ ছিল। পরে তা মরু অঞ্চলে পরিণত হয়। এই পরিবর্তনের পিছনে এতদিন প্রাকৃতিক কর্মকাণ্ডকেই দেখা হত। কিন্তু ফ্রন্টিয়ারস ইন আর্থ সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা থেকে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এতদিন মনে করা হত, পৃথিবীর কক্ষপথগত পরিবর্তন এই মরুভূমি তৈরির পিছনে ক্রিয়াশীল থেকেছে। কিন্তু নব্যপ্রস্তর যুগে এই অঞ্চলে মানবিক কারণেই পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে। সাহারা অঞ্চলে বৃষ্টিপাত কমে আসে। ইউরোপ, আমেরিকা ও নিউজিল্যান্ডে এমন পরিবর্তন পরেও দেখা গিয়েছে।



সাহারা অঞ্চলের পশুপালন সভ্যতার নিদর্শনগুলি পরীক্ষা করে দেখা গেছে, দক্ষিণ সাহারায় একসময় এই সভ্যতা রীতিমতো জীবন্ত ছিল। ক্রমে এই এলাকায় ঝোপজাতীয় উদ্ভিদ বাড়তে শুরু করে। পরে তা মরুভূমিতে পরিণত হয়। আনুমানিক ৮০০০ বছর আগে নীল নদের অববাহিকায় এক পশ্চিমমুখী অভিপ্রয়াণ দেখা যায়। পশুপালন সভ্যতা ক্রমশই পশ্চিমদিকে সরে যেতে শুরু করে। সাহারার এক বিপুল এলাকা ঝোপ-অধ্যুষিত হয়ে পড়তে শুরু করে। পশুপালন অর্থনীতি ক্রমে কৃষির দিকে বেঁকে যায়। পশ্চিমে উর্বর জমির সন্ধান চলতে থাকে। সাহারা ক্রমেই জনবিরল হয়ে পড়ে। পশুপালনে অরণ্যভূমি আগেই ধ্বংস হয়েছিল। কারণ, পশুপালনের উপযোগী চারণভূমি তৈরি করতে বিপুল হারে গাছ কাটা হয়। অরণ্য ধ্বংস হয়ে যায়। বৃষ্টি কমে আসে। মরু তার ডানা প্রসারিত করে সাহারা অঞ্চলে। নব্যপ্রস্তর যুগের অভিপ্রয়াণ যে পৃথিবীর সাবেক চেহারাটা পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল, একথা অনেক গবেষকই বলেন। তাই বলে সাহারার মতো সুবিশাল মরুভূমির পিছনেও যে মানবিক কর্মকাণ্ড প্রধান ভূমিকায় থাকতে পারে, তা এতদিন সেভাবে ভাবা যায়নি। ভাবাল সিওল বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা।



সেই সাহারা। হোক না তুমুল বালুরাশি। সেই বালিয়াড়িতেই ঘটেছে তুষারপাত। মরুভূমির ওপর জমে যায় বরফের আস্তরণ। যে ঘটনার সাক্ষী থাকে তরুণ চিত্রগ্রাহক করিম বৌচেতাতা। সাহারার এইন সেফ্রা নামে ছোট্ট ফরাসি গ্যারিসনে এর আগে তুষারপাত হয় ১৯৭৯ সালে। সেবার আধ ঘণ্টার বরফঝড়ে স্তব্ধ হয়ে যায় সমস্ত যান চলাচল। ফের ২০১৭। সাহারার লাল বালিয়াড়িতে তুষারপাত হয়েছে। নাহ্‍, কোনও মরীচিকা নয়, ঘোর বাস্তব। প্রকৃতির খামখেয়ালিপনা বোধহয় একেই বলে। বিরল এই দৃশ্য দেখার পর বৌচেতাতার কথায় ছবিগুলি, গ্রেট সেট অফ ফোটো। আলজিরিয়ার এইন সেফ্রা শহরটিকে সাহারার গেটওয়ে বলা হয়। তুষারপাতের পরদিনও বালিয়াড়ির ওপর চাদরের মতো পড়েছিল সাদা বরফ। তারপর ধীরে ধীরে তা গলে যায়।


আরও পড়ুন- কপাল বেচে খুলল কপাল