ওয়েব ডেস্ক:নিছক সাহসে ভর করেই যে নিশ্চিত মৃত্যুকে  হারিয়ে দেওয়া সম্ভব, প্রমাণ করে ছাড়লেন লুইস জর্ডন। অতলান্তিকে ঝড়ে ডুবে গিয়েছিল জর্ডনের মাছধরা নৌকা এঞ্জেল। ৬৬ দিন দিশাহীন ভাবে সমুদ্রে ভেসে বেড়ানোর পর তাঁকে উদ্ধার করে মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২৩ জানুয়ারি সাউথ ক্যারোলিনার কনওয়ে থেকে অতলান্তিকে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন ৩৬ বছরের লুইস জর্ডন। মাত্র কয়েকদিন পরেই সমুদ্রে ঝড়ের মুখে পড়ে তাঁদের মাছধরা নৌকা এঞ্জেল। ঝড়ের দাপট সামলাতে না পেরে উল্টে যায় পুরনো নৌকাটি। কোনোরকমে বেঁচে যান জর্ডন। তারপর উল্টোনো নৌকার হাল আঁকড়ে অতলান্তিকের বুকে ভেসে তাঁর বেঁচে থাকার লড়াইয়ের শুরু। ২৯ জানুয়ারি মার্কিন উপকূলরক্ষী বাহিনীর কাছে জর্ডনের নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার কথা জানান তাঁর বাবা। এরপরে নিখোঁজ নৌকাটির সন্ধানে তল্লাসি শুরু করে কোস্টগার্ড। কিন্তু দিন দশেক খোঁজাখুজির পর জর্ডন বা তাঁর নৌকার সন্ধান না পেয়ে হাল ছেড়ে দেয় তারা। ধরেই নেওয়া হয়েছিল লুইস জর্ডন আর বেঁচে নেই। নৌকাডুবির ৬৬ দিন পরে নর্থ ক্যারোলিনার কেপ হাতেরাসের ২০০ মাইল পূর্বে অতলান্তিকের বুকে হঠাতই একটি জার্মান মালবাহী জাহাজের নজরে আসেন জর্ডন। তারাই উদ্ধার করে তাঁকে। এরপর মার্কিন উপকূলরক্ষীবাহিনী হেলিকপ্টার জর্ডনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে। নৌকাডুবির পর ছোট্ট একটা জাল পেয়েছিলেন জর্ডন। অতলান্তিকের বুকে ভেসে থাকার সময় তাঁর খাদ্য ছিল সেই জালে ধরা কাঁচা মাছ আর বৃষ্টির জল। খিদে বা পিপাসার সঙ্গে যুদ্ধ করে রীতিমত হিসেব করে খেতে হত জর্ডনকে।  তবে মৃত্যুর মুখ থেকে পরিবারের কাছে ফিরতে পেরে সেসব কষ্ট তুচ্ছ হয়ে গেছে তাঁর কাছে।


 কাঁধে সামান্য চোট নিয়ে আপাতত ভার্জিনিয়ার নরফোকে এক হাসপাতালে ভর্তি জর্ডন। বড় মাছ ধরার লক্ষ্য নিয়ে অতলান্তিকে ভেসেছিলেন লুইস জর্ডন। মাছ ধরতে না পারলেও মৃত্যুঞ্জয়ী  নায়ক হিসেবেই ফিরে এসেছেন তিনি।