Salman Rushdie Stabbed: চোখের পলকে! ২০ সেকেন্ডে ১০-১৫ বার ছুরি দিয়ে আঘাত রুশদিকে
ঘটনায় হতবাক এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, লেখককে ঘিরে এখনো অনেক বিতর্ক আছে, সেটাই হয়তো দেখানোর চেষ্টা চলছে। তবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই প্রমাণিত হয়, যা ভাবছি তা নয়। এ কোনও অভিনয় নয়, এটা আসল ঘটনা। আমরা শিউরে উঠি।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: লেখক সলমন রুশদির উপর আক্রমণে স্তম্ভিত সারা বিশ্ব। দ্রুত তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর চিকিৎসা চলছে। জানা গিয়েছে তাঁর কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত। তাঁর একটি চোখও নষ্ট হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। ইতিমধ্যে জানা গয়েছে, বুকারজয়ী ঔপন্যাসিক সলমন রুশদিকে ১০ থেকে ১৫ বার আঘাত করেছে হামলাকারী। যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শৌতকুয়া ইনস্টিটিউটের মঞ্চে সলমন রুশদির ভাষণ শুরুর আগের মুহূর্তে তাঁর উপর হামলা হয়। অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছিলেন প্রায় আড়াই হাজার দর্শক-শ্রোতা। হামলার সময়ে অনেকেই ঠিক কী ঘটছে, তা তাৎক্ষণিকভাবে বুঝতে পারছিলেন না। রুশদি মেঝেতে গড়িয়ে পড়ার পর দর্শকদের টনক নড়ে। কেউ কেউ লেখকের কাছে ছুটেও যান। এক প্রত্যক্ষদর্শীর বয়ানে, তাঁরা মঞ্চে একজনকে উঠতে দেখেন এবং পলকের মধ্যে ওই দুর্ঘটনা। এক মার্কিন সংবাদসংস্থা জানিয়েছে, সলমন রুশদিকে ১০ থেকে ১৫ বার আঘাত করা হয়েছিল!
আরও পড়ুন: Salman Rushdie Stabbed: নিউ ইয়র্কে ছুরিকাহত সলমন রুশদি, আটক হামলাকারী
ক্যাথলিন জোন্স নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, হামলাকারী কালো রঙের পোশাক পরা ছিলে। মুখে কালো মুখোশ। ঘটনার সময় দর্শকসারিতে ছিলেন তিনি। তিনি বলেন, আমরা ভাবছিলাম এটি হয়তো অভিনয়। এ লেখককে ঘিরে যে এখনো অনেক বিতর্ক আছে, সেটাই হয়তো দেখানোর চেষ্টা চলছে। তবে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই প্রমাণিত হয়, যা ভাবছি তা ঠিক নয়। কোনও অভিনয় নয়, এটা আসল ঘটনা। এবং আমরা শিউরে উঠি। কয়েকজন লোক তখনই রুশদিকে ঘিরে ফেলেন এবং তাঁর পা উপরের দিকে তুলে ধরেন। ধারণা করা হচ্ছে, রুশদির বুকে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টায় তাঁরা এমনটা করেছিলেন।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রুশদি ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ১৯৮১ সালে 'মিডনাইটস চিলড্রেন' নামক বইয়ের জন্য বুকার জিতেছিলেন তিনি। ১৯৮৮ সালে তাঁর চতুর্থ বই 'দ্য স্যাটানিক ভার্সেস'-এর জন্য তাঁকে ৯ বছর লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল। যুক্তরাজ্যে বসবাসকালে বেশির ভাগ সময় তাঁকে সরকারের সুরক্ষা নিয়ে থাকতে হয়েছে। 'স্যাটানিক ভার্সেস' উপন্যাসে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মুসলিমরা। এটি প্রকাশের পর থেকেই রুশদি হত্যার হুমকি পেয়ে আসছিলেন। বইটি প্রকাশের এক বছর পরে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লা আলি খোমেইনি রুশদির মৃত্যুদণ্ডের ফতোয়া জারি করেন। সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৭ সালে রুশদিকে নাইট উপাধি দেন ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।