নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজপ্রাসাদ থেকে গরাদ। দুর্নীতির অভিযোগে জেলেই যেতে হল সৌদির এক নম্বর ধনকুবের প্রিন্স আল ওয়ালিদ বিন তালাল।


দেশের সবচেয়ে বড় দুর্নীতির অভিযোগে পুলিসের জালে ১১জন প্রিন্স, ৪জন বর্তমান মন্ত্রী এবং বেশ কয়েকজন প্রাক্তন মন্ত্রী। একই অভিযোগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সৌদি ন্যাশনাল গার্ডের প্রধান এবং অর্থমন্ত্রীকেও। ২০০৯ সালে জেড্ডায় বন্যার সময় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। গঠন করা হয় একটি কমিশন। দুর্নীতি-বিরোধী এই কমিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন।

COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সৌদির সরকারি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, কমিশনের মূল লক্ষ্য ছিল জনতার অর্থ যাতে অপচয় না হয়, তা দেখা, দুর্নীতিগ্রস্তদের শাস্তি দেওয়া এবং যাঁরা ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। 
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারে উদ্যোগী হন সলমন। সপ্তাহ দুয়েক আগে রিয়াধে বাণিজ্য সম্মেলন হয়। সেখানে বিশ্বের তাবড় তাবড় লগ্নিকারীরা হাজির হন। কীভাবে আর্থিক সংস্কার করা হচ্ছে, তা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। পাশাপাশি দেশের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকেও তুলে ধরেন প্রিন্স মহম্মদ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সলমনের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা, বিদেশ নীতি, আর্থিক সংস্কার ও বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপের বিরোধিতা করছিলেন ধৃতদের কয়েকজন। বারবার দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে অবশেষে সাহসী পদক্ষেপ সলমনের।