জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পশ্চিমবঙ্গের মতোই অবস্থা পাশের দেশ বাংলাদেশে। সেখানে বিশেষত ঢাকা শহরে পরিস্থিতি খুবই সঙ্গিন। শহরের ৯০ শতাংশ এলাকা তীব্র দাবদাহের কবলে। ওপার বাংলার রাজধানীর শাহবাগ, রমনা পার্ক, সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এলাকায় বসবাসকারীরা এই গ্রীষ্মে তুলনামূলক কম বিপদে আছেন। কারণ, ঢাকার মধ্যে এসব এলাকায় উষ্ণতার মাত্রা সবচেয়ে কম। রাজধানীর মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণ এখন কামরাঙ্গিরচর ও আদাবর এলাকা। এ ছাড়া ধানমন্ডি এলাকাতেও উষ্ণতার মাত্রা তীব্র হয়ে উঠেছে। সব মিলিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ ঢাকা সিটি করপোরেশনের ৯০ শতাংশ এলাকাই তীব্র তাপপ্রবাহের কবলে!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Early Monsoon in West Bengal: এ বছর কি সময়ের আগেই বর্ষা? কী এই 'ডাইপোল', 'লা নিনা', 'ইন্ডিয়ান নিনো'?


বাংলাদেশের এক সংস্থার তরফে ২৪ এপ্রিল প্রকাশ করা হয়েছিল 'তাপপ্রবাহ: বাংলাদেশ, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা' শীর্ষক এক প্রতিবেদন। সেই প্রতিবেদন থেকেই জানা যাচ্ছে এই সব তথ্য।
কোন এলাকায় তাপমাত্রা কেমন, তা চিহ্নিত করার পাশাপাশি মূলত চারটি সূচক দিয়ে একটি মানচিত্রও তৈরি করেছিল সংস্থাটি।


সেই প্রতিবেদন থেকে উঠে আসছে এই ব্যাখ্যা যে, প্রাকৃতিক কারণেই বেশি গরম থাকে গ্রীষ্মকালে, এটাই স্বাভাবিক। তবে গত কয়েক বছর ধরে রাজধানী-সহ সারা দেশে তীব্র উষ্ণতা মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপনকে বিপদগ্রস্ত করেছে। নাগরিকদের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিপদ বেড়েছে, কমেছে কর্মক্ষমতা।


নগরবিদ ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাজধানী ঢাকার ৯০ শতাংশ এলাকাই গ্রীষ্মকালের প্রায় গোটা সময়টা জুড়েই উষ্ণ থাকছে। ঢাকার পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা উত্তরা, মীরপুর ও ধানমন্ডিতেও একই ধরনের উষ্ণতা-বিপদ তৈরি হয়েছে। অল্প জায়গায় বিপুলসংখ্যক মানুষের বসতি, অতিমাত্রায় শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ব্যবহার, গাছপালা ও জলাভূমি না থাকা এবং বেশিরভাগ জায়গায় কংক্রিটের নির্মাণ থাকার কারণে অতি উষ্ণতার এই বিপদ বছর-বছর বাড়ছে।


আরও পড়ুন: Angarak Yog: রাহু-মঙ্গল যোগে ঘটতে চলেছে ভয়ংকর অমঙ্গল! সাবধানে থাকতে হবে এই রাশির জাতকদের...


আর এই প্রসঙ্গেই উঠে আসছে একটা প্রশ্ন। মানুষ কতটা তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে? বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, মোটামুটি ৪০ থেকে ৫০ ডিগ্রি পর্যন্ত সহ্য করতে পারে মানুষ। ভয়ংকর তাপমাত্রায় মানুষ বেঁচে থাকবে কিনা, সেটা নির্ভর করে কয়েকটি ব্যাপারের উপর। যেমন, পরিবেশের আর্দ্রতা, শরীরের ফিটনেস। বাতাসে আর্দ্রতা যত বেশি হবে, শরীর তত খারাপ হতে থাকবে। যখন শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় তখন শরীরের সেই তাপ কমানোর জন্য রক্তের প্রবাহ ঠিক রাখার প্রয়োজন পড়ে। আর সেটা করতে গিয়ে বেশি খাটতে হয় হৃদপিণ্ডকে। ফলে, গরমে কাবু হওয়া মানুষটির ফিটনেসটাও খুব জরুরি। যাঁরা তুলনায় দুর্বল অসহ্য গরমে তাঁদের অনেকেরই হিটস্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা থাকে, হতে পারে মৃত্যুও। এই বিপদ থেকে শরীরকে রক্ষা করতে প্রচুর ইলেকট্রোলাইটস ও জল খেতে হয়।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)