নিজস্ব প্রতিবেদন: রবিবার সকালে দিল্লি বিমানবন্দরে পৌঁছেছে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান। করোনাভাইরাস কবলিত চিন থেকে ৩২৩ ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে আনল মোদী সরকার। পাশাপাশি মলদ্বীপের ৭ নাগরিককেও ভারতে নিয়ে আসা হয়। প্রথম দফাতেও ৩২৩ জনকে নিয়ে আসা হয়েছে। করোনা চক্রব্য়ূহে যেভাবে তাঁদের জীবন ধীরে ধীরে বিপন্ন হতে চলেছিল, সেখান থেকে দ্রুত উদ্ধার করার সব রকম বন্দোবস্ত করে ভারত। চিনের উহান প্রদেশ থেকে ভারতীয় পড়ুয়াদের বাসে করে যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন চাতক পাখির মতো তাকিয়ে ছিলেন প্রতিবেশী দেশের পড়ুয়ারা। এই আশায় তাঁদেরও পাকিস্তান এভাবেই উদ্ধার করে নিয়ে যাবে!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু চিনে নিযুক্ত পাক দূত জানিয়ে দেন, তাঁদের পক্ষে চিন থেকে পড়ুয়াদের পাকিস্তানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তার কারণও ব্যাখ্যা করেন পাক দূত নাঘমানা হাসমি। তিনি জানান, করোনা মোকাবিলা করার মতো পর্যাপ্ত চিকিত্সা ব্যবস্থা নেই পাকিস্তানে। সে দেশে করোনা থাবা বসালে, মহামারী আকার নিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। সে কারণে, চিনেই পাক নাগরিকদের থাকতে হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁর যুক্তি, চিনে অত্যাধুনিক চিকিত্সা ব্যবস্থা রয়েছে। আক্রান্ত হলে সেখানে তাঁদের চিকিত্সার জন্য পাকিস্তান সব ব্যবস্থা করবে। পড়ুয়াদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। তাঁদের পরিবারের আশঙ্কার কারণ নেই বলে আশ্বাস দেন নাঘমানা হাসমি।



বাস্তবে আদৌ পাকিস্তান কতটা ‘মানবিক’, তুলে ধরলেন সে দেশের নাগরিকরাই। চিনে আটকে পড়া পাক পড়ুয়ারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগরে দেন পাকিস্তানের এ হেন আচরণের জন্য। ভারতীয় নাগরিকের উদ্ধার করা ভিডিয়ো পোস্ট করে এক পাক পড়ুয়া জানান, লজ্জা হওয়া উচিত ইমরান খানের। বাংলাদেশ, ভারত তাদের নাগরিকদের দেশে ফেরাচ্ছে। আর পাকিস্তান কীভাবে চুপ থাকে? ইমরান খানের শেখা উচিত ভারতের থেকে।



মহম্মদ রাউফ নামে বছর তিরিশের পাক স্নাতক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, “উহানে ঘরবন্দি হয়ে আমরা ৪০ জনের মতো আছি। কাহা-তক এভাবে ঘরে থাকা যায়।” খাবারও ফুরিয়ে আসছে বলে জানান আরও এক পাকিস্তানি পড়ুয়া। তাঁর কথায়, “সবর্ক্ষণ আমাদের নজরে রাখছে এ কথা পাকিস্তান মিথ্যে বলছে। খাবার ফুরিয়ে আসছে। আশঙ্কায় দিন গুনছি। আমাদের পরিবারও একই সমস্যায় দিন কাটাচ্ছে। প্লিজ আমাদের এখান থেকে নিয়ে যাক ইমরানের ‘নতুন’ পাকিস্তান”। তবে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাফর মির্জার সাফ জবাব, এই মুহূর্তে তাঁদের উদ্ধারে কোনও পরিকল্পনা নেই পাকিস্তানের।