নিজস্ব প্রতিবেদন:  মেয়ে যখন সবে কৈশোরের দোরগোড়ায়, তখন মারণ রোগ ক্যান্সার থাবা বসিয়েছিল তাঁর শরীরে। অগ্নাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছিলেন বাবা। মেয়ে ১৬ বছরে পড়তেই, জীবনের কাছে হার মেনেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের টেনিসির নক্সভিলের বাসিন্দা মাইকেল সেলারস। কিন্তু মৃত্যুর পরও পাঁচ বছরের জন্য মেয়ের জন্মদিনের উপহার পাঠানোর ব্যবস্থা করে গিয়েছিলেন মাইকেল। আজ মাইকেল আর নেই, কিন্তু মেয়েকে পাঠানো তাঁর উপহার আর চিঠি যেন গোটা বিশ্বের চোখে জল আনছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: "জঙ্গি তালিকা থেকে আমার নাম বাদ দিন", রাষ্ট্রসঙ্ঘে আবেদন হাফিজ সইদের


এরপর থেকে প্রতি বছর জন্মদিনে সেই আবেগঘন মুহূর্তের সামনে এসে দাঁড়ান বেইলি। সকালে দরজার কলিং বেল বাজে, এরপর বহু প্রত্যাশীত সেই ফুলের তোড়া আর সঙ্গে বাবার হাতে লেখা একটি চিঠি। তার পরতে পরতে লুকিয়ে বাবার স্নেহের পরশ।  প্রতিবছর জন্মদিনের ফুলের রঙও থাকে ভিন্ন। বেইল যখন ১৮তে পা দেন, তখন তাঁর জন্য অপেক্ষা করেছিল ‘বাবার পাঠানো’ গোলাপি রঙের ফুলের তোড়া, ১৯-এ তোড়ার রং ছিল লাল, গোলাপি আর সাদা রঙের ফুলের বুকে ছিল বেইলির ২০ বছরের জন্মদিনে। অবশেষে সেই বছর। এবার একুশে পা দিলেন বেইলি। এবারই বাবার পাঠানো শেষ উপহার পেলেন তিনি।


জন্মদিনের দুপুরে বন্ধুদের সঙ্গে লাঞ্চ সেরে বাড়ি ফিরেছেন বেইলি। দরজার সামনে অপেক্ষা করছিল বেগুনি রঙের একটি ফুলের তোড়া। আর সঙ্গে সেই বহু প্রত্যাশিত চিঠি। জন্মদিনে পাওয়া বাবার শেষ চিঠিতে লেখা ছিল, ‘তোমার প্রতিটি সাফল্যে আমি সবসময় তোমার সঙ্গে থাকবো। চারপাশে তাকালেই তুমি আমাকে দেখতে পাবে। ফের আমাদের দেখা হওয়ার আগে পর্যন্ত এটিই তোমাকে পাঠানো আমার ভালবাসার শেষ স্মারক।‘


এবারের ফুলের রঙই ব্যক্ত করেছিল মাইকেলের মনের কথা। বেগুনি রঙ যা অগ্নাশয়ের ক্যানসারের সচেতনতামূলক প্রতীক। যে মারণ রোগ তাঁকে ২০১৩ সালের ২৫ অগাস্ট মেয়ের কাছ থেকে দূরে সরিয়েছিল, তার প্রতীকি রঙ দিয়েই মেয়ের কাছে শেষ চিঠি রেখে গেলেন তিনি।


আরও পড়ুন: মুখ খুলছে আগ্নেয়গিরি, জারি চূড়ান্ত সতর্কতা, বন্ধ বিমানবন্দর


বেইলি এবারও তাঁর জন্মদিন পালন করেছেন, অবশ্যই তা অন্যরকমভাবে। বাবার লেখা চিঠি ও ছোটোবেলার বাবার সঙ্গে কাটানো কিছু মুহূর্তের ছবি তিনি টুইটারে শেয়ার করেছেন।


 



বেইলি সেই টুইট এখন ভাইরাল। মেয়েকে লেখা মাইকেলের শেষ চিঠি পড়ে অনেকেরই চোখের কোণ চিকচিক করে উঠেছে।  আড়াই লক্ষ মানুষের রিটুইট ও বাবার সঙ্গে বেইলির ছবিতে  দেওয়া ১১ লক্ষ লাইক-এই তা স্পষ্ট।