জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সরকারি চাকরিতে কোটা আন্দোলনকে ঘিরে উত্তাল হল বাংলাদেশ। প্রাণ গেল প্রায় দুশো মানুষের। সুপ্রিম কোর্ট কোটা বাতিল করেছে।  শান্ত হয়েছে বাংলাদেশ। এরকম এক পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের ইসলামপন্থী দল জামাত-ই-ইসলামি ও তার ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করতে চলেছে হাসিনা সরকার। বুধবারই সম্ভবত এনিয়ে কোনও নির্দেশিকা জারি হয়ে যেতে পারে। সরকারের একাংশের দাবি, ছাত্র আন্দোলনকে কব্জা করে ফেলেছিল জামাত-ই-ইসলামি। তাদের জন্য এতজনের মৃত্যু হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-অলিম্পিক্সে ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বার লড়াই! মিশরীয় চিকিৎসককে কুর্নিশ দুনিয়ার


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সম্প্রতি একটি বৈঠক করে শাসক ১৪ দলের জোটের একটি বৈঠক হয়। তার পরেই জামাতকে নিষিদ্ধ করার ব্যাপারের সবুজ সংকেত মেলে। দেশের আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, জামাতকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি একটি নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হবে। এনিয়ে অবশ্য জামাতের প্রতিক্রিয়া হল, গায়ের জোরে এসব করতে চলেছে হাসিনা সরকার।


আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আরও জানিয়েছেন জামাতকে নিষিদ্ধ করার পদ্ধতিটি নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা হবে বুধবার।  আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবাইদুল কাদের বলেন, দেশের ভালোর জন্য জামাতকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ১৪ দলীয় জোট। সোমবার সন্ধেয় এনিয়ে বৈঠক হয় হাসিনার বাসভাবন গণভবনে।


কোটা আন্দোলন হিংস্র হয়ে যাওয়ার পেছনে রয়েছে জামাতের হাত। এমনটাই মনে করছে বাংলাদেশের কোনও কোনও মহল। কারণ আন্দোলন হাইজ্যাক হয়ে যায় জামাতের হাতে। যে কোনও জমায়েতে যদি হাজার লোক জড়ো হয় তাহলে সেখানে দেখা গিয়েছে মাত্র ১০ জন ছাত্রকে। কারণ অধিকাংশ পড়ুয়া চাইতেন রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ থেকে সরে আসতে। ২০১৮ সালে একবহার নিষিদ্ধ হয়েছিল জামাত। তখন থেকেই তারা সুযোগ খুঁজছিল এরকমই একটি বিক্ষোভের।


অন্যদিকে, জামাত ই ইসলামির পক্ষ থেকে একটি ট্যুইট করে বলা হয়েছে, প্রথম থেকেই নিজেদের দায় এড়ানোর জন্য মিথ্যে বলে গিয়েছে সরকার। তারা এখন বিরোধী ও জামাতের সঙ্গে ব্লেম গেম খেলছে।



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)