বয়স ১৬, বিয়ে করে এক রাতে ৭ স্বামীর শয্যাসঙ্গী হতে হয় তাকে!
ঘটনাগুলি একটিও মিথ্যা নয়। দিনের পর দিন ঘটে চলেছে এই ঘটনা। আরও কতদিন এমন ঘটনা চলতে থাকবে তার কোনও উত্তর বোধহয় কেউই দিতে পারবে না।
ওয়েব ডেস্ক : ঘটনাগুলি একটিও মিথ্যা নয়। দিনের পর দিন ঘটে চলেছে এই ঘটনা। আরও কতদিন এমন ঘটনা চলতে থাকবে তার কোনও উত্তর বোধহয় কেউই দিতে পারবে না।
কিন্তু কী সেই ঘটনা? কোথায় ঘটে চলেছে?
ইরাক, সিরিয়া সহ মধ্য প্রাচ্যের দেশগুলিতে গত কয়েক বছর ধরেই চলছে ISIS-এর অত্যাচার। দিনের পর দিন হত্যালীলা চালানোর পাশাপাশি, মহিলাদের প্রতিও চলছে অকথ্য অত্যাচার। বিশেষ করে ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মহিলাদের ওপরই এই অত্যাচারের মাত্রা অতিরিক্ত।
আরও পড়ুন- বিশ্বের ১৩০টি বিমানবন্দরের Wi-Fi পাসওয়ার্ড জেনে নিন
দিন কয়েক আগের ঘটনা। বাড়িতে দুই বোন। অত্যন্ত সুন্দরী। বড় বোনের বয়স কিঞ্চিত বেশি। ছোট জনের বয়স ১৫ কী ১৬। বড় বোন বিবাহিতা। একদিন হঠাত্ই বাড়িতে আক্রমণ হল ISIS জঙ্গিদের। দুই বোনকেই তুলে নিয়ে গেল তারা। বড় বোনকে প্রথম দিনই ধর্ষিতা হতে হয়েছিল ৩ জন জঙ্গির হাতে। তারপর থেকে এক হাত থেকে দুই হাত...সেখান থেকে বাড়তে বাড়তে ৫ নম্বর হাত। সকলেই ভোগ করে বেঁচে দিয়েছে তাঁকে। একদিন সেই 'নরখাদক'-দের প্রয়োজন মিটতে তাঁকে সেখান থেকে মুক্তি দেওয়া হয়।
তার মুখেই শোনা। এখনও কী নরক যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে তাঁর ছোট্টো বোনটিকে। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ জন জঙ্গি ছিঁড়ে ছিঁড়ে 'খাচ্ছে' তাকে। তারা প্রত্যেকেই তার স্বামী। চমকে উঠলেন তো? সেটাই স্বাভাবিক। ১৫ বছরের ওই কিশোরীকে বিয়ে করেছে ৭ জন ISIS জঙ্গি। আর প্রতি রাতেই তাদের যৌন খিদের শিকার হতে হচ্ছে তাকে। একসঙ্গে তিন, কখনও আবার চার জন স্বামীর শয্যাসঙ্গী হতে হচ্ছে তাকে। নিস্তার নেই কোনও ভাবেই।
ISIS জঙ্গিরা এই দুই বোনের দাদাদের কুপিয়ে কুপিয়ে খুন করেছে বলে অভিযোগ বড় বোনের। শুধু এই দুই বোনই নয়, এই ধরনের ঘটনার সম্মূখিন ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মহিলার।
সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, বছরের পর বছর ধরে ISIS জঙ্গিরা ইয়াজিদি মহিলাদের ভোগ্যপণ্য হিসেবে ব্যবহার করে চলেছে। চলছে নির্বিচারে অত্যাচারও।