হিংস্র কুকুরের হামলা, বোনকে বাঁচাতে গিয়ে ছোট্ট ভাইয়ের মুখে ৯০টি সেলাই
``এই কুকুরের হামলায় যদি কারও মৃত্যু হত তাহলে সেটা আমি হতাম। বোন নয়।``
নিজস্ব প্রতিবেদন - ভাই আর বোনের ভালবাসা। একজন আরেকজনের জন্য জীবন বাজি রাখতে পারে। দুনিয়ার সব ভাই বোনের মধ্যেই হয়তো এমন ভালবাসা থাকে। কিন্তু কয়েকজন সময় বিশেষে একে অপরের প্রতি সেই ভালবাসা প্রমাণ করার সুযোগ পায়। মাত্র ছয় বছর বয়সী ব্রিজার ওয়ালকার চার বছরের বোনকে বাঁচাতে নিজের জীবন বাজি রেখে দিল। তার বোনকে হিংস্র কুকুরের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে ব্রিজারের মুখে ৯০ টি সেলাই পড়েছে। কিন্তু তাতে তার বিন্দুমাত্র পরোয়া নেই। উল্টে সে নিজের বাবাকে বলেছে, ''এই কুকুরের হামলায় যদি কারও মৃত্যু হত তাহলে সেটা আমি হতাম। বোন নয়।'' এমন কথা শোনার পর ব্রিজারের বাবা আর একটি কথাও বাড়াননি।
আরও পড়ুন- করোনা সংক্রমণের ভয়! ৯৩ টি মিংক হত্যা করল স্পেনের প্রশাসন
বয়স বাড়লে অনেক সম্পর্কের সমীকরণ বদলে যায়। অনেক সময় ভাই বোন বা ভাইয়ের সঙ্গে ভাইয়ের সম্পর্ক আগের মতো থাকে না। কিন্তু ছোটবেলার কথা আলাদা। এই সময়টাই পবিত্র, নিরীহ। ভালোবাসায় তখন ভেজাল মেশে না। তাই ভাই আর বোন নিজেদের মধ্যে প্রাণের সম্পর্ক বজায় রাখে। এক বছরের একটি জার্মান শেফার্ড কুকুর আক্রমণ করলে ব্রিজার আগে পরে না ভেবে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বোনকে বাঁচাতে সে নিজেকে এগিয়ে দেয়। কুকুরটি তার গালে থাবা বসায়। এতে ভয়ানক জখম হয় ব্রিজার। কিন্তু সে পিছিয়ে আসেনি। বোনকে বাঁচিয়েছে। নাহলে আরও বড় বিপদ হতে পারত।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উয়োমিং রাজ্যের এই ঘটনা ইন্টারনেটে ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই ব্রিজারের সাহসিকতায় অবাক হয়েছেন। মার্কিন অভিনেত্রী আন্নে হ্যতয়ে এই ঘটনা তুলে ধরেন। কুকুরের হামলায় মারাত্মক যখন হয়েছিল ব্রিজার। কিন্তু এক মিনিটের জন্য সে ভয় পায়নি। দু ঘণ্টার সার্জারি হয় তার। ৯০ টি সেলাই পড়েছে তার মুখে। কিন্তু দিনের সাহেবকে বাঁচানোর আনন্দ তার সেলাইয়ের ক্ষত ঢেকে দিচ্ছে।