জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আফগানিস্তানে সাংবাদিকতার কাজে গিয়ে নিহত হয়েছিলেন। সারা বিশ্বেই তিনি এখন পরিচিত মুখ-- রয়টার্সের চিত্রসাংবাদিক দানিশ সিদ্দিকি। তাঁর কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি জিতে নিয়েছেন পুলিতজার পুরস্কার। কিন্তু তিনি তো আর ইহজগতে নেই। তাই পুরস্কারের মঞ্চে এল তাঁর দুই শিশু সন্তান-- ছ'বছরের ইউনুস সিদ্দিকি, চার বছরের সারা সিদ্দিকি। রোহিঙ্গা নিয়ে ডকুমেন্টেশনের কাজে তাঁর অবদান অবিস্মরণীয়। দীর্ঘদিন ধরে তিনি রোহিঙ্গাদের দুঃখ-কষ্ট-ব্যথা-যন্ত্রণার সাক্ষী থেকেছেন, সাক্ষী থেকেছে তাঁর বাঙ্ময় ক্যামেরা। এজন্য ২০১৮ সালেও তিনি জিতে নিয়েছিলেন পুলিতজার পুরস্কার। কোভিড-পর্বে বিহারেও গিয়েছিলেন। নিজের চোখে, ক্যামেরার চোখে দেখেছেন করোনার মারণযজ্ঞ। পরে আফগানিস্তানে তালিবান আক্রমণ ও দখলদারির ছবি তুলতে যান। সেখানে যেন নিয়তিই টেনে নিয়ে গিয়েছিল তাঁকে। শেষ হয়ে গেল একটি স্বপ্নিল জীবন। কিন্তু তাঁর মতো মানুষের জীবন তো শেষ হয়েও শেষ হয় না। তাঁর কাজের, তাঁর শিল্পের, তাঁর সৃজনশীলতার স্বীকৃতিস্বরূপ আবারও তাঁকে পুলিতজার দিতে বাধ্য হল পুলিতজার কর্তৃপক্ষ। আর সেই দ্বিতীয় পুরস্কার নিতেই নিউ ইয়র্কের মঞ্চে হাজির তাঁর দুই শিশুপুত্র।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: British PM: লিজ ট্রাসের পরে কারা আছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে? জেনে নিন কী কী নাম ভাসছে...


নিজের ছেলের কাজের স্মৃতিচারণ করে দানিশের বাবা আখতার সিদ্দিকি বলেন, তাঁর ছেলের কাজ স্বীকৃতি পেয়েছে দেখে তিনি খুবই আনন্দিত। তিনি বলেন, 'দানিশ আজ আর আমাদের সঙ্গে নেই, কিন্তু তাঁর কাজ আছে, যা আজও আমাদের গর্বিত করে, আনন্দ দেয়। এই পুরস্কার তাঁর কঠোর পরিশ্রম, আত্মত্যাগ এবং ভ্যালু-অ্যাডেড সাংবাদিকতারই অর্জন।' তিনিই জানান, করোনার সময়ে দানিশ প্রচুর ঘুরে বেড়িয়েছে। বাড়িতে ছোট ছোট দুটি ছেলে। তাদের সংক্রমণের ভয় ছিল। কিন্তু কিছুরই তোয়াক্কা করেনি ও। প্রত্যন্তে ঘুরে বেড়িয়েছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)