ওয়েব ডেস্ক: পৃথিবীতে এমন অনেক ফুল আছে যারা সূর্যের আলোয় বেঁচে থাকে আর রাতের অন্ধকার ঘনালেই শেষ। পরের দিন ভোরের আলো ফুটতেই আবার জেগে ওঠে তারা। কখনও ভেবে দেখেছেন মানুষ যদি এমন হয়? যতক্ষণ সূর্যের আলো ততক্ষণ সে স্বাভাবিক কিন্তু সূর্য ডুবতেই মানুষ পরিণত হয় পাথরে। সে নড়াচড়া করে না, কথা বলে না, খাওয়া-দাওয়া করে করে না, এমনকি চোখ খুলে তাকাতেও পারে না। ফের সেই মানুষ জেগে ওঠে পরের দিনের ভোরের সঙ্গে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভাবছেন এ বোধহয় আরব্যরজনীর কোনও গল্প। না, কোনও গল্প নয়, ঘোর বাস্তব। পাকিস্তানে সন্ধান মিলেছে এই 'সোলার কিডস'দের। কোয়াত্তা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ হাসিম। তাঁর দুই ছেলে। একজনের বয়স ৭ অন্যজন ১৩। অদ্ভূতভাবেই এই বাচ্চা দুটির জীবন সূর্যের ওপর নির্ভরশীল। যতক্ষণ আকাশে সূর্য আছে ততক্ষণ এরা স্বাভাবিক। আর পাঁচটা সাধারণ বাচ্চার মতো খাওয়া-দাওয়া, পড়াশোনা, খেলাধুলো সবই করে। কিন্তু সূর্য ডুবলেই এদের সব ক্ষমতা শেষ হয়ে যায়। এরা তখন হয়ে যায় পাথরের মতো স্থির। চলাফেরা, কথা বলা, খাওয়া-দাওয়া কিছুই আর করতে পারে না। এমনকি চোখ খুলে তাকাতেও পারে না। সূর্য উঠলেই ফের স্বাভাবিক এই দুই ভাই।


কিন্তু কেন এমন হয়? সূর্য ডুবলে কেন অচল হয়ে যায় 'সোলার কিডস'? ডাক্তাররাও হতবাক। তাদের চিকিৎসাবিদ্যা এখনো পর্যন্ত এর কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। তবে চিকিৎসা চলছে, চলছে নানারকম পরীক্ষা নিরিক্ষা। দুই ভাইয়ের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠান হয়েছে বিদেশে। কিন্তু আদৌ এরা কোনওদিন সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবে কিনা, সে প্রশ্নের জবাব এখনো চিকিৎসকদের কাছে নেই।