ওয়েব ডেস্ক: ২৬ জনের মৃত্যু বাংলাদেশে। ৯২ জন মারা গিয়েছেন শ্রীলঙ্কাতে। কারণ, রোয়ানু। শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ উপকূল থেকে জন্ম নেওয়া এই সাইক্লোনের দাপটে শুধু বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা নয় ক্ষতি হয়েছে ভারতের উপকূলবর্তী অঞ্চলেও। ভারতের তামিল নাড়ু, অন্ধ্র প্রদেশ, কেরালায় রোয়ানুর প্রভাব ছিল সবথেকে বেশি। ঘণ্টায় ৮৫ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসা সাইক্লোনে প্রাণ হারিয়েছেন ১১৮ জন (বাংলাদেশ ২৬ ও শ্রীলঙ্কা ৯২), এখনও নিখোঁজ অন্তত ১০০। মায়ানমার, বাংলাদেশ, ভারতের পূর্ব উপকূল ও শ্রীলঙ্কায় 'রোয়ানু' আতঙ্ক তাড়া করছে সাধারণ মানুষকে? ফের আসবে রোয়ানু?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, এখনই রোয়ানুর ফের ফেরার সম্ভাবনা নেই। ১৭ মে ২০১৬ তে জন্ম নিয়ে ২৩ মে ২০১৬ তেই 'মৃত্যু' হয়েছে রোয়ানুর। 


রোয়ানু আসলে কী? এটি একধরনের সাইক্লোন। এর সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ১৫০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা। 


ভারত থেকে কীভাবে রোয়ানু বাংলাদেশের দিকে গেল? আবহাওয়াবিদরা বলছেন প্রথমে ভারতের বিশাখাপত্তনমেই ১৫০ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসছিল রোয়ানু। উপকূলে ৬ ঘণ্টা ঘনীভূত হওয়ার পর বাংলাদেশের দিকে ক্রমশ এগিয়ে যেতে থাকে এই সাইক্লোন। উপকূল অঞ্চলের তাপমাত্রার ফারাকেই বাংলাদেশের দিকে বাঁক নিয়েছে রোয়ানু, মনে করছেন গবেষকরা। 


বাংলাদেশে রোয়ানু কতক্ষণ ছিল? ৮৫ কিলোমিটার গতিবেগে রোয়ানু স্থায়ী হয়েছিল ৩ মিনিট, আর রোয়ানু গতিবেগ যখন ১০০ ছিল তখন তার স্থায়িত্ব ছিল মাত্র ১মিনিট। রোয়ানুর প্রকোপে ৪০ হাজার মানুষ ঘর ছাড়া। তবে এই সাইক্লোনে সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রীলঙ্কা।