নিজস্ব প্রতিবেদন: একাকী গায়কের নহে তো গান!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গান গাওয়ার সময়ে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। কয়েকজন গায়ককে নিয়ে পরীক্ষা চালিয়ে এমনই সিদ্ধান্তে এসেছেন জার্মানির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকেরা। গবেষকেরা মাস্ক, শারীরিক দূরত্ব, ভেন্টিলেশন ইত্যাদি বিষয়েও প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করেছেন।
    
গান গাওয়ার সময় এয়ারোসোল কতদূর উড়ে যেতে পারে, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে জার্মানির এরলাঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের দুই বিজ্ঞানী প্রাপ্ত তথ্যের মূল্যায়ন করেছেন। এ ক্ষেত্রে দুই বিজ্ঞানীর পরামর্শ-- গান গাইলে বার বার নতুন এয়ারোসোল তৈরি হয়। তাই লাগাতার ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখাই সেরা উপায়৷ সেটা থাকলে হয়তো সমবেত শিল্পী বা শ্রোতাদের মধ্যে দুই বা আড়াই মিটার ব্যবধানের কথা ভাবা যেতে পারে৷ তবে অনেক সংগীতগোষ্ঠীর পক্ষেই তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়ে।


গবেষণায় আর একটি বিষয়ও সামনে এসেছে। গানের সময়ে বড় ড্রপলেটের ক্ষেত্রে স্বরবর্ণ ও ব্যঞ্জনবর্ণের আলাদা ভূমিকা। শ্রোতাদের কাছে গানের বাণী ভালো ভাবে বোধগম্য করে তোলার জন্য অনেক গায়কই স্পষ্ট উচ্চারণ করতে চান। এবং দেখা গিয়েছে গানের কথায় যেসব ব্যঞ্জনবর্ণ থাকে সেগুলি উচ্চারণের সময়ে শিল্পীকে বিশেষ জোর দিতে হয়৷ এরলাঙ্গেন বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে, স্বরবর্ণ উচ্চারণের ক্ষেত্রে তারা প্রায় কোনো ড্রপলেট বের হতে দেখেননি। ব্যঞ্জনবর্ণের তুলনায় অতি সামান্য ড্রপলেটসই সেখানে পাওয়া গিয়েছে৷ কিন্তু ব্যঞ্জনবর্ণ উচ্চারণের সময়ে তার মাত্রা বেড়ে যায়।


গবেষকদের মতে, যে কোনও সঙ্গীতানুষ্ঠানে সমবেত শিল্পী বা শ্রোতাদের মধ্যে আড়াই মিটার পারস্পরিক দূরত্ব রক্ষা করা হোক। অন্তত পক্ষে দেড় মিটার দূরত্ব অবশ্যই বজায় রাখা উচিত৷ মাঝে গ্লাসওয়াল রাখা গেলে আরও ভাল। অনুষ্ঠানের জায়গায় লাগাতার ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা রাখলে আরও বেশি সুরক্ষা নিশ্চিত করা সম্ভব।


বলাই বাহুল্য, ভারতের মতো দেশে এরকম পরিবেশে সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করা রীতিমতো কঠিন। অতএব হে গায়ককুল, বন্ধ করো স্পষ্ট উচ্চারণ করে গান গাওয়া! কারণ এখন একাকী গায়কের নহে তো গান। শ্রোতাও যে ভুগবে!  


আরও পড়ুুন: স্মৃতির ওই ফলক লোপাট! শুরু হল সংরক্ষণের কাজ