নিজস্ব প্রতিবেদন:  শুরু হয়ে গিয়েছে  মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্র প্রধানের বহু প্রতীক্ষিত বৈঠক। আর এই বৈঠক থেকে কী সূত্র বেরিয়ে আসবে, সেই চিন্তায় দুই চোখের পাতা এক করতে পারলেন না দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। মঙ্গলবার ক্যাবিনেটের এক আলোচনায় সে দেশের প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন  বলেন, কিম-ট্রাম্পের বৈঠক নিয়ে চিন্তায় রাতে ঘুম আসেনি। মুন আরও জানান, এই বৈঠক সফল হলে নতুন দরজা খুলে যাবে দুই কোরিয়ার মধ্যে। এবং কোরিয় উপদ্বীপেও বন্ধ হবে অস্ত্রের ঝনঝনানি। আমার বিশ্বাস দুই কোরিয়ার সাধারণ মানুষ আশা নিয়ে তাকিয়ে রয়েছেন সিঙ্গাপুরের দিকে। বলাবাহুল্য, দুই রাষ্ট্র প্রধানই এ বিষয়টি স্মরণে রেখেছে। প্রথম সাক্ষাতে শরীরি ভাষায় তার ইঙ্গিত মিলেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- প্রথম করমর্দনেই ইতিবাচক, চলছে ট্রাম্প-কিমের ঐতিহাসিক বৈঠক


উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরের বৈঠকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পাশাপাশি কোরিয় উপদ্বীপের শান্তি বজায় রাখার বিষয়টিও আলোচিত হবে। প্রসঙ্গত, এদিনের এই ঐতিহাসিক বৈঠকের পিছনে তাত্পর্যপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বামমনস্ক প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইন। কার্যত মার্কিন মুলুকের বন্ধু রাষ্ট্রহিসাবে পরিচিত দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টই দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলাতে সাহায্য করেছেন বলে মনে করে কূটনৈতিক মহলের একটা বড় অংশ। পরমাণু অস্ত্র নিয়ের পিয়ংইয়ংয়ের একরোখা মনোভাবের জন্য বৈঠক বাতিল করবেন বলে মনস্থ করেছিলেন ট্রাম্প। এর পরই বহু প্রতিক্ষীত বৈঠকের ভবিষ্যত মেঘাচ্ছন্ন হয়ে পড়ে। আর ঠিক তখনই অনুঘটক হিসাবে নতুন অবতারে মঞ্চে আবির্ভূত হন মুন। ফলে, এ দিনের বৈঠক নিয়ে মুনের চিন্তিত হওয়া যথেষ্টই যুক্তিগ্রাহ্য বলে মনে করা হচ্ছে।


আরও পড়ুন- ট্রাম্প-কিম বৈঠকে 'গৌরী সেন' সিঙ্গাপুর


উল্লেখ্য, সিঙ্গাপুরের সেন্তোসা দ্বীপে ক্যাপেলা হোটেলে বৈঠক শুরু করে দিয়েছেন ট্রাম্প ও কিম। প্রথম সাক্ষাতেই উভয় পক্ষের থেকে ইতিবাচক বার্তা মিলেছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, বৈঠক সফল করতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাবেন দুই রাষ্ট্রনায়কই। দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যেও একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তবে, এই আলোচনা থেকে অর্ধচন্দ্র নয়, পূর্ণিমার দ্যুতি নিয়ে উদ্ভাসিত পূর্ণ চন্দ্র,এমনটাই আশা মুন জায়ে ইনের।