নিজস্ব প্রতিবেদন- করোনা সংক্রমণের ভয় জাঁকিয়ে বসছে দিনের পর দিন। ভয়ে মানুষ হাতের সামনে থাকা সব কিছুই স্যানিটাইজ করে নিতে চাইছে। ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে যে কোনও জিনিস থেকে। কোন কোন জিনিসের উপর এই প্রাণঘাতী ভাইরাস কতক্ষণ বাঁচতে পারে তা নিয়ে একটি গাইডলাইন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু সেই গাইডলাইন যে অক্ষরে অক্ষরে ঠিক তা দাবি করে বলা যাচ্ছে না। ফলে মানুষের মনে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে। মাস্ক পরা, হাতে স্যানিটাইজার লাগানো ছাড়াও লোকজন রোজকার ব্যবহার করার জিনিসপত্র থেকেও ভাইরাস তাড়াতে চাইছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ফল হচ্ছে ভয়ানক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দক্ষিণ কোরিয়ার এক ব্যক্তি যেমন টাকা স্যানিটাইজ করতে চেয়েছিলেন। ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে তিনি ৫০ হাজার ওন (প্রায় ৩১৩৭ টাকা) ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে দেন। এর পর একটা স্পিন-এর পরই টাকার অবস্থা হয়ে যায় শোচনীয়। তিনি সেই নষ্ট হয়ে যাওয়া নোটগুলি নিয়ে এর পর হাজির হন ব্যাঙ্ক অফ কোরিয়ায়। কিন্তু ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ তাঁকে এতগুলো টাকা বদলে দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানানো হয়। তবে তিনি অর্ধেক টাকা বদলাতে পেরেছেন। ব্যাঙ্কের তরফে জানানো হয়, নোটের অল্পবিস্তর ক্ষতি হলে সেটা বদলে দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি যে নোটগুলো এনেছেন সেগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। এর পরই ব্যাঙ্কের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়, টাকা স্যানিটাইজ করার জন্য কেউ যেন সেগুলিকে ওয়াশিং মেশিন বা মাইক্রোওভেনে না ঢোকান!


আরও পড়ুন-  ওবামা, বিল গেটসদের টুইটার হ্যাকড! ১৭ বছর বয়সী এই কিশোর মাস্টারমাইন্ড


ব্যাঙ্ক অফ কোরিয়া জানিয়েছে, গত বছর যে পরিমাণ নষ্ট হওয়া নোট তাদের কাছে এসেছিল এবার তার থেকে তিন গুণ এসেছে। আর করোনার জন্যই এমন হচ্ছে। অনেকেই নোট স্যানিটাইজ করার জন্য সেগুলিকে ওভেনে রেখে তাপ দিচ্ছেন। কেউ ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রশাসন জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত কয়েক বিলিয়ন ওর নষ্ট হয়েছে। করোনার প্রকোপ শুরু হওয়ার পর অনেকেই নষ্ট হয়ে যাওয়া নোট নিয়ে ব্যাঙ্কে আসছেন। অনেক নোটের অবস্থা এতটাই খারাপ যে সেগুলি ব্যাঙ্ক অফ কোরিয়া বদলে দিতে পারছে না। কেউ কেউ নোট পুড়িয়েও ফেলছেন। ব্যাঙ্ক অবশ্য ফেরত পাওয়া সব নোট স্যানিটাইজ করার ব্যবস্থা করেছে। তা ছাড়া নোট বা কয়েন ফেরত এলে কিছুদিন আলাদা করে রাখা হচ্ছে যাতে সংক্রমণের সম্ভাবনা কমে।