সাবমেরিন নিয়ে থাইল্যান্ডের গুহায় পৌঁছে গেলেন স্পেসএক্সের সিইও
সঙ্কুল গুহার ভিতরে উদ্ধারকাজ চালনার সময় মৃত্যু হয় থাইল্যান্ড সেনার এক ডুবুরির। ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রশিক্ষিত ডুবুরিদের নিয়ে পৌঁছনোর চেষ্টা করে আটকে থাকা ফুটবলারদের কাছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: শুধু প্রস্তুত করেই ক্ষান্ত হননি, একেবারে থাইল্যান্ডের থাম লিয়াং গুহার ৩ নম্বর বেসে পয়েন্টে পৌঁছিয়ে গিয়েছেন মার্কিন বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্স-র কর্ণধার ইলন মাস্ক। এখনও গুহার মধ্যে আটকে রয়েছে ৫ কিশোর। মাস্কের তৈরি অত্যাধুনিক ছোটো সাবমেরিন যদিও এখনও উদ্ধারকার্যে ব্যবহার হয়নি। কিন্তু মাস্ক আশাবাদী, তাঁর তৈরি এই সাবমেরিন উদ্ধারকাজকে আরও সহজ করে দেবে।
আরও পড়ুন- থাইল্যান্ডের উদ্ধারকাজের সুবিধার জন্য সাবমেরিন পাঠাল স্পেসএক্স
সোমবার টুইটে বেশ কয়েকটি ভিডিও প্রকাশ করে মাস্ক দেখান কীভাবে জলমগ্ন গুহার ভিতর থেকে সাবমারিনের মাধ্যমে বাচ্ছাদের বার করা হবে। এই ধরনের সাবমেরিনগুলির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওয়াইল্ড বোয়ার’। কিশোরদের ফুটবল দলের নামেই নামকরণ করা হয়।
প্রসঙ্গত, সঙ্কুল গুহার ভিতরে উদ্ধারকাজ চালনার সময় মৃত্যু হয় থাইল্যান্ড সেনার এক ডুবুরির। ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রশিক্ষিত ডুবুরিদের নিয়ে পৌঁছনোর চেষ্টা করে আটকে থাকা ফুটবলারদের কাছে। সোমবার পর্যন্ত ৮ জন কে উদ্ধার করা গিয়েছে। এখনও আটকে রয়েছে ৪ ফুটবলার এবং তাদের প্রশিক্ষক।
আরও পড়ুন- গুহা থেকে ৫ জন উদ্ধার হবে আজই, জানিয়ে দিল উদ্ধারকারী দলের প্রধান
গত ২৩ মে থেকে দু’সপ্তাহের বেশি এই গুহায় আটকে রয়েছে ফুটবলাররা। ব্রিটেন, অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রশিক্ষিত ডুবুরি আনিয়ে খোঁজ চালিয়েছে থাইল্যান্ড সরকার। উদ্ধারকার্যে সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছে চিন, আমেরিকা, জাপান-ও। ২৩ জুন গুহা পরিদর্শনে ভিতরে ঢোকে ওয়াইল্ড বোয়ার দলের ১২ জন খুদে ফুটবলার এবং প্রশিক্ষক। এরপর হড়পা বানে গুহার ভিতর জল ভরে যায়। আটকে পড়ে তারা। ন’দিনের মাথায় প্রথম খোঁজ অক্ষত অবস্থায় মেলে ফুটবলারদের।
আরও পড়ুন- মন্তনা পাহাড়ে ন’ঘণ্টা চাপা থেকেও জীবিত ৫ মাসের শিশু, গ্রেফতার অভিযুক্ত