ওয়েব ডেস্ক: এবার 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' করল পাকিস্তান। এবং এটাই পাকিস্তানের করা প্রথম 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। যদিও পাক সরকারের তরফ থেকে আফগানিস্তানের উপর করা এই 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক'কে এখনও স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যমের একটি অংশের দাবি আফগান সীমান্ত পেড়িয়ে সেদেশের মাটি ব্যবহার করা একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে এসেছে পাক সেনাবাহিনী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত বৃহস্পতিবার অর্থাত্‍ ১৬ই ফেব্রুয়ারি রাতে সিন্ধ প্রদেশের সুফি দরগায় আইএস কর্তৃক সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের পরেই নড়েচড়ে বসে পাক প্রশাসন। ঘটনার পরদিনই প্রায় ১০০ জঙ্গিকে নিকেশ করে ইসলামাবাদ। আর তার সঙ্গেই মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিদের একটি তালিকা তুলে দেওয়া হয় আফগানিস্তানের হাতে এবং বেশ কড়া ভাবে কাবুলকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে তারা যেন অবিলম্বে দোষীদের শাস্তি দেয় নতুবা পাকিস্তানের হাতে তাদের তুলে দেয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত, গোপন সূত্রে পাক সেনা জানতে পারে যে পাক-আফগান সীমান্তে বেশ কিছু জঙ্গিনেতা জড় হয়েছে বড়সড় সন্ত্রাসী হামলার জন্য। আর এই খবর পেতেই রাতের অন্ধকারে আফগান সীমান্ত পেড়িয়ে জঙ্গি নিধনে নেমে পড়ে পাক সৈনিকরা। জানা যাচ্ছে, আফগান জঙ্গিগোষ্ঠী জামাত-উল-আহরারের ডেপুটি কম্যান্ডারকে নিকেশ করার পাশাপাশি তাদের চারটি ঘাঁটিকেই ধ্বংস করে দিয়ে এসেছে পাকিস্তানি সোনারা।


পাক প্রশাসনের তরফ থেকে এই 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক'-এর দায় স্বীকার করা না হলেও সূত্রের খবর অনুসারে, কাবুলে নিযুক্ত পাক রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠিয়েছে আফগান প্রশাসন।


উল্লেখ্য, ভারত বরাবর যে অভিযোগটি পাকিস্তানের বিরুদ্ধে আনে, ঠিক সেই একই অভিযোগ পাকিস্তানও আনে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। অর্থাত্‍ পাকিস্তান বলতে চায়, আফগানিস্তানের মাটি ব্যবহার করেই জঙ্গিরা পাকিস্তানকে আক্রমণ করে আসছে দীর্ঘকাল ধরে। আর এবার সেই আক্রমণেরই জবাব দিল পাক প্রশাসন বলে মনে করছে কূটনীতিক মহল। এখন দেখার আফগান সরকার কিল খেয়ে হজম করবে নাকি কড়া জবাব দেবে কাবুলিওয়ালার দেশ। (আরও পড়ুন- কলম্বিয়ায় বিস্ফোরণ, কার্নিভালের হাওয়া রিও শহরে)