জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ঘটনাস্থল সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেড। সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী, ১৪ বছরের এক কিশোর। ক্লাসে সে তার শিক্ষককে সটান গুলি করে দিল। ক্লাসে এসে সবে পড়াতে শুরু করেছেন শিক্ষকমশাই। ক্লাসরুম শান্ত স্বাভাবিকই ছিল। শিক্ষকের পড়া শুনছিল পড়ুয়ারা। এমন সময় আচমকাই চেয়ার ছেড়ে উঠে শিক্ষককে নিশানা করে গুলি ছোড়ে ওই ছাত্র। মুহূর্তেই রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শিক্ষক। ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই স্তম্ভিত হয়ে যায় গোটা ক্লাস।

 


 

কিন্তু সেখানেই শেষ নয়, তখনও বিস্ময়ের অনেক বাকি ছিল। বিস্মিত শঙ্কিত পড়ুয়ারা যখন ভাবছে, কী করবে, তখনই, কিছু বোঝার আগেই তাদেরও নিশানা করে ওই পড়ুয়া। সতীর্থদের দিকেও এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়তে আরম্ভ করে কিশোর বন্দুকবাজ। বুধবার সকালে সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডের এই ঘটনায় মারা গিয়েছে ৮ কিশোর পড়ুয়া এবং স্কুলের একজন নিরাপত্তারক্ষী। সার্বিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে এ ঘটনার কথা জানিয়েছে ।

 


 

বেলগ্রেডের ভ্লাদিস্লাভ রিবনিকার এলিমেন্টারি স্কুলে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিস জানিয়েছে, খুদে ওই বন্দুকবাজ সপ্তম শ্রেণির পড়ুয়া। কিছু দিন আগেই সে এই স্কুলে ভর্তি হয়েছে। শান্ত এবং পড়াশোনায় ভালো। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ৯ জনের মৃত্যুর ঘটনার পাশাপাশি আহত হয়েছে আরও ৬ খুদে পড়ুয়া এবং ক্লাসের ওই শিক্ষক। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

 

ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এটা খতিয়ে দেখতে যে, ঠিক কী কারণে ওই পড়ুয়া ক্লাসে গুলি চালাল এবং কী ভাবে তার কাছে বন্দুক এল? বন্দুকবাজের হামলার মতো ঘটনা সার্বিয়ায় তুলনামূলক ভাবে কম, বা প্রায় ঘটে না। কেননা সেখানে রয়েছে কড়া অস্ত্র আইন। তবে বুধবারের ঘটনায় সেই অস্ত্র আইন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।