গভীর জঙ্গলে বসে একমনে পিয়ানো বাজাচ্ছেন এক ব্যক্তি, পাশেই বন্যপ্রাণী...
Elephant Listening To Piano: সংগীত উপভোগ করছে তারা। পিয়ানো শুনছে মন দিয়ে। শুনতে শুনতে প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেছে। না, মানুষ নয়। মনুষ্যেতর প্রাণী। এ দৃশ্য জঙ্গলের।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সংগীত উপভোগ করছে তারা। পিয়ানো শুনছে তারা। শুনতে শুনতে প্রতিক্রিয়াও ব্যক্ত করেছে। না, মানুষ নয়। মনুষ্যেতর প্রাণী তারা। হাতির কথা বলা হচ্ছে। হাতিদের এমনিতেই বুদ্ধিমান প্রাণী বলা হয়। এদের শ্রবণশক্তি বেশ প্রখর। স্মৃতিশক্তি খুব ভালো। কিন্তু তাই বলে, তারা সংগীতও উপভোগ করবে, এমনটা বোধ হয় অভিজ্ঞতার মধ্যে ছিল না। সেই অভিজ্ঞতাই লাভ হল এবার।
হাতিদের সুরের মূর্ছনায় হারিয়ে যেতে দেখা গেল। থাইল্যান্ডের ঘটনা। সেখানে এক মা হাতি ও তার শাবক মিলে উপভোগ করেছে পিয়ানোর সুর। হাতি ও এর শাবকের এই পিয়ানোর সুর উপভোগের একটি ভিডিয়ো যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, জঙ্গলের মধ্যে বসে পিয়ানো বাজাচ্ছেন এক ব্যক্তি। আর তাঁর সামনে এক মা হাতি ও তার শাবক। সুর শুনে কী করছে হাতিরা? তারা কান আন্দোলিত করছে, শুঁড় নাড়ছে, শুঁড় দিয়ে ধুলো ঘাঁটছে। এভাবেই সুর শোনার অভিব্যক্তি জানিয়েছে তারা। দেখে মনে হবে, তারা পিয়ানো উপভোগ করছে। যেন পিয়ানোবাদকেরও প্রশংসা করছে।
আরও পড়ুন: অনুজ্জ্বল বিবর্ণ নীল! এ কোন মহাজাগতিক বস্তুর ছবি তুলে পাঠাল ওরিয়ন...
সোশ্যাল মিডিয়ায় এ সংক্রান্ত ভিডিয়োটি শেয়ার করেছেন ভারতের এক সরকারি কর্মকর্তা। নাম তাঁর সুপ্রিয় সাহু। তিনি পোস্টটির শিরোনামে লিখেছেন-- মা ও শাবক হাতির জন্য পিয়ানোর সুর! ভিডিয়োতে তিনি পল বার্টন নামে থাইল্যান্ডের এক ব্যক্তির নামও উল্লেখ করেন তিনি। তিনিই ওই পিয়ানোটি বাজাচ্ছিলেন। জানা গিয়েছে, পল বার্টনের জন্ম ব্রিটেনে। ২৬ বছর আগে তিনি থাইল্যান্ডে পাড়ি জমান। পল বার্টন বলেন-- ‘হাতিরা যদি আনন্দ পায়, তাহলে তাদের জন্য এই পিয়ানো বাজানো সার্থক। বিশেষ করে হাতিগুলির যদি কোনও সমস্যা থেকে থাকে!’
হাতিগুলির আবার কীসের সমস্যা?
পল বার্টন থাইল্যান্ডে দৃ্ষ্টিহীন ও প্রতিবন্ধী হাতিদের জন্য পিয়ানো বাজান। ফলে পিয়ানো শুনে যদি ওই ধরনের সমস্যায় থাকা হাতিরা একটু আনন্দ পায়, তা হলে সেটাই আনন্দের, বলতে চান পল।