একদিকে তছনছ করে গেল আমফান, অন্যদিকে এবার তাণ্ডব শুরু করল ম্যাঙ্গা
ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১৩০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
নিজস্ব প্রতিবেদন— শতাব্দীর অন্যতম ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমফানের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছে বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। এমনকী বাংলাদেশেও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক। এরই মধ্যে আরেক ঘূর্ণিঝড় ম্যাঙ্গার দাপট শুরু হয়েছে অস্ট্রেলিয়ায়। অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিম উপকূলে আঘাত হেনেছে এই সুপার সাইক্লোন। উপকূলীয় অঞ্চলের অন্তত ১৮ হাজার বাড়ি বিপদের মুখে। বিদ্যুত সংযোগ ইতিমধ্যে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বেসওয়াটার, বাসেনডিন, অ্যাশফিল্ড শহরের পূর্বাঞ্চলে ব্যাপক ক্ষতির হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যমগুলি জানিয়েছে, পার্থ মেট্রোপলিটন এলাকার সাড়ে ছয় হাজার বাড়ির ক্ষতি হতে পারে এই ভয়ানক ঘূর্ণিঝড়ে। উদ্ধারকারী দল এরই মধ্যে মাঠে নেমেছে। সজাগ প্রশাসন। তবে এর মধ্যে ম্যাঙ্গা লেজের ঝাপটা দিতে শুরু করেছে বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। অস্ট্রেলিয়ায় দশ বছরে ম্যাঙ্গা সব থেকে ভয়ানক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। হিলসের সয়ারস ভ্যালে ও মাউন্ট হেলেনার ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। অস্ট্রেলিয়ার দমকল ও জরুরি সেবা বিভাগের (ডিএফইএস) ডেপুটি কমিশনার জন ব্রুমল জানিয়েছেন, উত্তর—পশ্চিম দিক থেকে আসছে এই ঝড়। এটি সুপার সাইক্লোন। তাই প্রবিল গতিবেগে হাওয়া বইবে। সঙ্গে বৃষ্টি। ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা অনেক বেশি।
আরও পড়ুন— বাদুড় থেকে ফের ছড়াচ্ছে অজানা ভাইরাস! মারা গেল ৫০০ ঘোড়া
ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১৩০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। অস্ট্রেলিয়ার আবহাওয়া ব্যুরো জানিয়েছে, বেশ কিছু এলাকায় ব্যাপক বৃষ্টিপাতেরও আশঙ্কা রয়েছে। সেইসঙ্গে জলোচ্ছ্বাসের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে বাড়িত সতর্কতা অবলম্বন করছে স্থানীয় প্রশাসন। সোমবার ঝড়ের দাপট হবে সর্বাধিক। তবে ম্যাঙ্গা রবিবার দুপুর থেকেই উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যাপক আঘাত হানতে শুরু করেছে।