নিজস্ব প্রতিবেদন: কোটি-কোটি টাকা খরচ করে স্বপ্নের চারচাকা কিনেছেন আপনি। তবে বাস্তবের মাটিতে সেই গাড়ির চাকা যখন গড়াতে শুরু করে, তখন সিগন্যাল ও  ট্র্যাফিক জ্যামের মতো বাম্পারে গাড়ির চাকা ঠিক আটকেই যায়। তবে ভবিষ্যতে এমন দিন আর দেখতে হবে না। গাড়িই এবার উড়বে। প্রায় ১৪ বছরের লড়াইয়ের ফল পেয়েছে 'স্যামসন সুইচব্লেড'- তিনচাকার এই স্থলযানের বোতাম টেপার সঙ্গে সঙ্গেই পরিণত হবে উড়োযানে। আকাশ পথে ঘণ্টায় ২০০ মাইল বেগে  ছুটতে পারবে এই যান। পরীক্ষামূলক ভাবে উড়ুক্কু গাড়ি চালানোর কথা ভাবছে নির্মাণকারী সংস্থা। 'সুইচব্লেড', নামটি এসেছে তাঁর ছুরির মতো ডানার জন্য। দু-সিটার গাড়ি পুশ বাটন টেপার তিন মিনিটের মধ্যে তৈরি হয়ে যায় ওড়ার জন্য। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


আরও পড়ুন: Flying Car: ৫ মিনিটেই হয়ে যান পাইলট! ৬৫ লাখের গাড়িতে উড়ুন আকাশে ...


৩ সিলিন্ডার বিশিষ্ট, ১.৬ লিটারের লিকুইড-কুল ইঞ্জিনে লাগে ৯১ অক্টেন পাম্প গ্যাস যা উৎপন্ন করে ১৯০ হর্সপাওয়ার। বলা হচ্ছে এটা জেনারেটরের মতো কাজ করে। ড্রাইভিংয়ের সময় ইলেকট্রিক হুইলে ভর করে এগিয়ে যায়। ওড়ার সময় কাজ করে ইলেকট্রিক প্রপ মোটোর। এই  উড়ুক্কু গাড়ি ওড়ার আগে ও পরে কোনও এয়ারস্ট্রিপের প্রয়োজন নেই। ৩৩৫ মিটার রানওয়ে পেলেই সম্ভব টেকঅফ। ল্যান্ডিংয়ের জন্য দরকার ২১৩ মিটার জায়গা। যে কোনও সাধারণ গ্যারেজেই এই গাড়ি ফিট করে যাবে। দাড়িয়ে থাকলে উচ্চতা পাঁচ ফুট এক ইঞ্চি। দেখতে গেলে একটি সিডান গাড়ির জায়গাই নেয় এই গাড়ি-বিমানের ককটেল। যেহেতু এই গাড়ির ফ্লাইং গিয়ারগুলি অনায়াসে ফোল্ড হয়ে যায়, সেহেতু কোনও সমস্যা হয় না। এতটা পড়ে যদি চমকে গিয়েছেন নিশ্চই! মনে হতেই পারে এমনটাও আবার হয় নাকি! এ কী হলিউডের কোনও সাই-ফাই ছবির গল্প না তো! না, একেবারেই নয়। এমনটাই বিলক্ষণ ঘটছে এবং ভবিষ্যৎ কথা বলবে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এবার গাড়িতে আটকে থাকার দিন শেষ হতে চলেছে, এবার আপনার অপেক্ষায় গোটা আকাশ। সাধারণের আকাশ ছোঁওয়া স্বপ্নই সত্যি হতে চলেছে এবার।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)