নিজস্ব প্রতিবেদন: "উই হ্যাভ ব্ল্যাক সনস, ব্ল্যাক ব্রাদার্স," আমরা তাঁদের মরতে দিতে পারিনা! এই স্লোগানেই উত্তাল সমগ্র আমেরিকা। আন্দোলনের রেশ করোনা ছাপিয়ে হোয়াইট হাউসের প্রান্তরে প্রতিবাদের আগুন জ্বালাচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘চোখরাঙানি’ ও ‘হুঁশিয়ারিকে’ কার্যত ছুড়ে ফেলে অগ্নিগর্ভ ওয়াশিংটন থেকে মিনিয়াপোলিস। হিংসাত্মক বিক্ষোভকে 'ঠাণ্ডা' করে দেবেন বলেছিলেন ট্রাম্প। সেই লক্ষ্যে বিক্ষোভকারীদের উপর কাঁদানে গ্যাস, পিপার স্প্রে ছুড়েছিল পুলিস। কিন্তু প্রতিবাদ রোখা যায়নি।
জর্জ ফ্লয়েড নামে এক নিরস্ত্র কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তির ঘাড়ে হাঁটু রেখে মারার চেষ্টা করছেন এক শ্বেতাঙ্গ পুলিস অফিসার ডেরেক শভিন নেল্ট। পরক্ষণেই মারা যান ওই কৃষ্ণাঙ্গ ব্যক্তি। প্রকাশ্যে আসে সেই ভিডিয়ো। সেটাই আন্দোলনের রসদ মার্কিন মুলুকে। মিনিয়াপোলিসে লাগাতার বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বর্ণবিদ্বেষ মেনে নেবে না আমেরিকা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: নেপালের মানচিত্রে ভারতের ৩ এলাকা! বিরোধীদের সমর্থনে পাস হওয়ার মুখে সংবিধান সংশোধনী বিল


তিন বছরের কৃষ্ণাঙ্গ ছেলেকে নিয়ে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন ৩১ বছরের মহিলা মুনা আবদি। তাঁর বক্তব্য, আমার ছেলে যাতে বাঁচতে পারে, তাই আমি এখানে। প্রায় ১৩ টি শহরে কার্ফু জারি করেও পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না মার্কিন প্রশাসন। প্রতিবাদের আগুন ছড়িয়ে পড়েছে গোটা আমেরিকা।
শিকাগো, লস অ্যাঞ্জেলস থেকে শুরু করে নিউইয়র্ক, আটলান্টা সব জায়গায় আগুনের সমান তেজ। প্রতিবাদীরা পুলিসের গাড়ি জ্বালিয়েছে, ভাঙচুর হয়েছে দোকানপাট। যা দেখে বলা চলে আমজনতা ও পুলিসের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র আমেরিকা।
অভিযুক্ত পুলিস অফিসার ডেরেক শভিনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ডেরেককে। পুলিস অফিসারের আরও কড়া শাস্তির দাবিতে পথে বিক্ষোভকারীরা।
ফ্লয়েডের মৃত্যুতে ট্রাম্প শোকপ্রকাশ করলেও কড়া সুর টেনেছেন বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে। কিন্তু তাতে থোড়াই কেয়ার! প্রতিবাদ চলছে স্বমহিমায়। আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্পের ডেমোক্র্যাটিক প্রতিপক্ষ জো বিডেন অবশ্য হিংসার নিন্দা করলেও কৃষ্ণাঙ্গদের হয়েই সওয়াল করেছেন।