ওয়েব ডেস্ক: পরিচয় সোশ্যাল মিডিয়া থেকেই। হেলো, হাই থেকে আলাপচারিতার শুরু। সময় যত যায়, গভীরতা বাড়ে কথোপকথনে। কি খেলে, কোথায় যাচ্ছো থেকে টেক্সট মেসেজ পৌঁছায় যৌনতায়। কিশোরীও আপত্তি জানায়নি। গভীর থেকে আরও গভীর হয় সম্পর্ক। আদান প্রদান হয় ন্যুড ছবিরও। অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পর কিশোরী বুঝতে পারেন, তাঁর ন্যুড ছবি নিয়ে তাঁকে আসলে ব্লেক মেল করা হচ্ছে। ইন্টারনেটে প্রেমের জাল বিছিয়ে তাঁকে যৌনদাসী বানানো হয়েছে। প্রথমে লজ্জা আর সঙ্কোচ থেকে অবসাদে ভুগতে শুরু করেন মার্কিন মুলুকের ওই কিশোরী। এরপর তাঁর মধ্যে তৈরি হয় জেদ। ১৫ বছরের কিশোরী ঠিক করেন ইন্টারনেটের ওই ব্ল্যাকমেলারকে উপযুক্ত শাস্তি দেবেন। 



ভাবনা মতই কাজ, ছুটে গেলেন ৪০০০ মাইল। আমেরিকার জর্জিয়া থেকে উত্তর ম্যাঞ্চেস্টার পৌঁছে গেলেন ১৮ বছর বয়সী ব্ল্যাকমেলারের মুখোমুখি হবেন বলে। শেষ পর্যন্ত খুঁজেও পেলেন তাঁকে। এরপর কিশোরী সমস্ত ঘটনা পুলিসকে জানালে, পুলিস ওই ১৮ বছর বয়সী অভিযুক্ত ড্যানিয়েল হোয়ার্থকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে আদালতে তোলা হলে সমস্ত নথি প্রমাণ দেখে আদালত ড্যানিয়েলের চার বছরের কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করে।