Python on Moving Car`s Windscreen: রাতে গাড়ি চালাচ্ছিলেন ভদ্রলোক, হঠাৎ পিছনে তাকিয়ে যা দেখলেন তাতে আত্মারাম খাঁচাছাড়া...
Python on Moving Car`s Windscreen: বাকি রাস্তাটুকু একরকম প্রাণ হাতে করেই গাড়ি চালালেন। আস্ত এক পাইথনকে পিছনে রেখে রাতের অন্ধকারে গাড়ি চালানো চাট্টিখানি কথা নয়। তবে এরই মধ্যে একটু সাহসের পরিচয়ও দিয়েছেন তিনি। সাহস করে একটা ভিডিয়ো তুলেছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তাইল্যান্ডের ক্র্যাবি। তখন রাত। আপন মনে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। কী মনে হতে একবার পিছনে তাকালেন। ব্যস! যা দেখলেন, তাতে তাঁর আত্মারাম খাঁচাছাড়া। কী দেখলেন? এক আস্ত সাপ! যা-তা সাপ নয়। একেবারে অজগর! ঘুণাক্ষরে বুঝতেই পারেননি এ ভাবে বিপদ আসতে পারে। এরপর তাঁর পক্ষে আর মাথা ঠান্ডা করে গাড়ি চালানো সম্ভব হয়নি।
আরও পড়ুন: Russia-Ukranie War: ডনেৎস্কে ইউক্রেন-হামলায় মৃত ৪০০ রুশ সেনা! নতুন বছরের শুরুতে কি ব্যাকফুটে রাশিয়া?
বাকি রাস্তাটুকু একরকম প্রাণ হাতে করেই গাড়ি চালালেন। আস্ত এক পাইথনকে পিছনে রেখে রাতের অন্ধকারে গাড়ি চালানো চাট্টিখানি কথা নয়। তবে এরই মধ্যে একটু সাহসের পরিচয়ও দিয়েছেন তিনি। সাহস করে একটা ভিডিয়ো তুলেছেন। ২৭ সেকেন্ডের ভিডিয়ো। সেটি পোস্টও করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা দেখে পরে শিউরে উঠেছেন সকলেই! সাপটা কী ভাবে গাড়ির কাচ বেয়ে চলাচল করছিল-- তারই ভিডিয়ো।
ভদ্রলোক তাইল্যান্ডের ক্র্যাবির বাসিন্দা। নাম চালের্মফন। তিনি বলেন-- 'গাড়ি চালাচ্ছিলাম। আচমকাই গাড়ির সামনের কাচে এসে পড়ে একটি সাপ। দেখে খুব ভয় পেয়ে যাই। মনে হয়, যদি এটা কোনও ভাবে গাড়ির ভিতর ঢুকে পড়ে! বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে!' ততক্ষণে সাপটি গাড়িটিকে ঘিরে ধরে চলাচল করতে শুরু করেছে। এরকম করতে-করতে এটি চলে যায় গাড়ির পিছনের উইন্ডস্ক্রিনে। চালক ভদ্রলোক পরে জানান, ওই দৃশ্য দেখতে-দেখতে, ভয়ে কাঁপতে-কাঁপতে কোনওমতে গাড়ি চালিয়ে তিনি পরের স্টপে যান। সেখান থেকে জরুরি বিভাগে ফোন করেন। গোটা রাস্তাটা বারবার পিছন ঘুরে শুধু দেখছিলেন, সাপটি কোনও ভাবে গাড়িতে ঢুকে পড়ছে না তো!
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছে, অজগর দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাস করে। পৃথিবীর অন্যতম বড় সাপ এটি। এটি ভেড়া-ছাগল খেয়ে ফেলতে পারে; পাখি, ইঁদুর, অন্য সাপও গিলে ফেলে। এরা এমনকী মানুষকেও আক্রমণ করে। স্বাভাবিক ভাবেই এদের দৈর্ঘ্য ২০-২১ ফুট হয়। কখনও কখনও ৩০ ফুটও হতে পারে!