নিজস্ব প্রতিবেদন: ন’দিন। গুহার ভিতর ঘুটঘুটে অন্ধকারে একটানা বসে থাকা, ৯০ মিনিট মাঠে লড়াইয়ের চেয়ে অনেক বেশি কঠিন...তবুও তারা ‘গোলে’ পৌঁছতে পেরেছে। হবে না-ই বা কেন? তারা যে ফুটবলার!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নয় দিনের মাথায় যখন প্রথম দৃশ্যটা ধরা পড়ল এক ব্রিটিশ উদ্ধারকারীর ক্যামেরায়, তা সত্যি শিহরিত হবার মতো। গুহার মধ্যে উঁচু ঢিবির উপর একে অপরে গায়ে গা লাগিয়ে বসে রয়েছে ১৩টি ছেলে। অন্ধকার দেওয়ালে নিকশ কালো রং লেপলে যতটা কালো হয়, তার চেয়েও গভীর অন্ধকার। হাত দিয়ে স্পর্শ করলে তবেই পাশের জন সাড়া দেয়। তাও ক্ষীণ গলায়। ন’দিন না-খাওয়া। স্বভাবতই শরীর গিয়েছে ঝুঁকে। স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায় একটু উষ্ণতা পেতে গায়ের জার্সি হাঁটুর উপর নামিয়ে নিয়েছে তারা। সামনে জল টলমল করছে।



আরও পড়ুন- সিনেমার মতো! জেল ভেঙে হেলিকপ্টারে উধাও আসামী!


আজ কী বার?  উদ্ধারকারীকে দেখে এই প্রশ্নটাই করে ফুটবল দলের এক খুদে। একটু ভেবে উদ্ধারকারী উত্তর দেন, “সোমবার। এক সপ্তাহ কেটে গিয়েছে।” সত্যিই এ ক’টা দিন গুহার ভিতর সময়টা থমকে গিয়েছিল। ওই উদ্ধারকারী আসতে নতুন করে সবাই বাঁচার রসদ খুঁজে পায়। তাঁর মাথায় থাকা হেডলাইটের আলো এই প্রথম তাদের চোখে পড়ে। আর এক খুদের কাতর আর্জি, “আমার ভীষণ খিদে পেয়েছে। কিছু খেতে দাও আমায়।” তাদেরকে আশ্বস্ত করেন উদ্ধারকারী। চিন্তা নেই দ্রুত তাদের উদ্ধার করা হবে। আরও একটি দল এখনি আসছে।



আরও পড়ুন- মরু দেশে হিমশৈল! তেষ্টা মেটাতে আস্ত পাহাড় তুলে আনছে আমিরশাহী


গুহার ভিতর যখন এই দৃশ্য, বাইরে টানা ন’দিন তেমনই অধীর অপেক্ষায় বসেছিলেন ওই খুদে ফুটবলারদের পরিজনরা। গত শনিবার থাম লুয়্যাং ন্যাং নন গুহায় টানা বৃষ্টির জেরে হড়পা বানে আটকে পড়ে ১২ জন খুদে ফুটবলার এবং তাদের প্রশিক্ষক। এক সপ্তাহের বেশি তাদের কোনও হদিশ মেলেনি। যুদ্ধকালীন তত্পরতায় উদ্ধারকার্য শুরু করে থাইল্যান্ডের সেনা। ব্যবহার করা হয় ব্রিটিশ ডুবুরি এবং মার্কিন সেনাদেরও। গুহার ভিতর নতুন রাস্তা বানিয়ে জল-খাবার পাঠানো হয়। পাম্প চালিয়ে জল বাইরে বের করা হয়। ঘটনাস্থলে সর্বক্ষণ উপস্থিত থাকেন চিকিত্সকরাও।



আরও পড়ুন- ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটার ব্যবহার করলে কর দিতে হচ্ছে 


ফুটবলারদের বেঁচে থাকার খবর বাইরে আসতেই আনন্দে, কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিজনেরা। উদ্ধারকারীদের মুখেও তৃপ্তির হাসি। তবে, ফুটবল বিশ্বকাপ চলাকালীন এই সাহসী খুদেরা টানা ন’দিন  জীবনের সঙ্গে যে লড়াইটা করল, তাদের হাতে  বিশ্বকাপটা তুলে দেওয়ার আর্জি করেছেন অনেক নেটিজেনই। আপনি কী বলেন?


দেখুন ভিডিও