Elon Musk : ছেলেকে দেখতে এলে গ্যারাজে ঠাঁই হয় বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তির মায়ের! কিন্তু কেন?
আপনি কি জানেন, তাঁর মা রাতে গ্যারাজে শুতে যান। ৭৪ বছর বয়সী সুপার মডেল, ইলন মাস্কের মা, মেই নিজেই কথাটি ভাগ করে নিয়েছেন সকলের সঙ্গে।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিট্যাল ব্যুরো: এই মুহূর্তে বিশ্বের সব থেকে ধনী ব্যক্তি কে, তা আর আলাদা বলতে লাগে না। কিন্তু আপনি কি জানেন, তাঁর মা রাতে গ্যারাজে শুতে যান। ৭৪ বছর বয়সী সুপার মডেল, ইলন মাস্কের মা, মেই নিজেই কথাটি ভাগ করে নিয়েছেন সকলের সঙ্গে। তিনি যখন বোকা চিকায় (Boca Chika) স্পেস এক্সের সিইওতে তাঁর ছেলের সাথে দেখা করতে আসেন, তখন তিনি গ্যারাজেই শুতে পছন্দ করেন কারণ তাঁর মতে 'তুমি রকেট সাইটের পাশে একটি ফ্যান্সি বাড়ি বানাতে পারো না'। এই না হয় গেল ইলন মাস্কের (Elon Musk) মায়ের কথা। কিন্তু আপনি আরও অবাক হবেন জেনে যে তাঁর 'মাল্টি-বিলিওনিয়র' (Multi-billionaire) ছেলে এই মুহূর্তে কোন সম্পত্তির মালিক না। এটাও সম্ভব!
সুপারমডেল মেই জানিয়েছেন, তাঁর ছেলের সম্পত্তিতে বিশেষ আগ্রহ নেই। এপ্রিলে এলন নিজেই জানিয়েছিলেন, তিনি একটি বাড়িরও মালিক না। নিজের বন্ধুর বাড়িতে তিনি থাকেন। তিনি আরও জানান, তাঁর 'নিজস্ব বাসস্থান' নেই। যদিও বোকা চিকাতে মাত্র ৪৫ হাজার ডলারের একটি 'ছোট' বাড়ি আছে। তাঁর দাবি, বাড়িতে আগে দুটি বেডরুম ছিল। পরবর্তীকালে মায়ের জন্য গ্যারেজকে বেডরুমে পরিণত করতে হয়। এই বাড়িটি ৮০০ থেকে ৯০০ বর্গফুটের। এছাড়া এই মাল্টি-বিলিওনিয়রের একটি ৩৭৫ বর্গফুটের একটি ছোট বাড়ি আছে যা তিনি দর্শকদের ভাড়া দেন। ইলন বলেনই, ২০২০ সালের মধ্যে তাঁর সব সম্পত্তি বিক্রি করে দেবেন এবং 'নিজের বাড়ি' বলতে তাঁর কিছু থাকবে না।
'স্পেস-এক্স' (SpaceX) এবং 'টেসলা'র (Tesla) প্রধান ইলন মাস্কের মোট সম্পদের আর্থিক মূল্য ১৯১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ব্লুমবার্গ সূচক (Bloomberg Billionaires Index) অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি এখন ইলন। চলতি বছরেই প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকার বিনিময়ে মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের ৯.২ শতাংশ মালিকানা কিনে নিয়েছিলেন ইলন। এ বার পুরো মালিকানাই তাঁর হল। মাস্কের দাবি, তিনি টুইটারের অংশীদার হওয়ার সময়ে ভেবেছিলেন টুইটার বিশ্ব জুড়ে বাক্স্বাধীনতার মূল মাধ্যম হয়ে উঠবে। কিন্তু বিনিয়োগ করার পরেই নাকি তিনি উপলব্ধি করেছিলেন যে, চলতি অবস্থায় এটা কখনই সম্ভব নয়। তাই ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সংস্থা হিসেবে এর বদল ঘটানোই তাঁর লক্ষ্য বলে ঠিক করে নেন তিনি।