নিজস্ব প্রতিবেদন: রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমাগত বাড়তে থাকায়, বিশ্বের বাকি দেশগুলি এই সঙ্কট কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে। যদিও, রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে ক্ষতিকর প্রভাব পরবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই নেতিবাচক প্রভাবগুলি ইতিমধ্যেই অস্থির শেয়ার মার্কেট এবং ক্রমবর্ধমান অপরিশোধিত তেলের দামের মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে। যদিও ভারত এখনও যে কোনও পক্ষের পক্ষেই অবস্থান নেয়নি। কিন্তু তা সত্তেও দেশে আরও ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে বিভিন্ন জিনিসের দাম। এর মধ্যে রয়েছে অপরিশোধিত দাম এবং অন্যান্য পণ্য।


ইউএস এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (US Energy Information Administration) পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২০ সালে, রাশিয়া ছিল তৃতীয় বৃহত্তম তেল উৎপাদনকারী। প্রতিদিন আনুমানিক ১০.৫০ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন করা হত। রাশিয়া এবং ইউক্রেনের যুদ্ধের ফলে, অপরিশোধিত তেল এবং প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। অপরিশোধিত তেলের দাম বর্তমানে ব্যারেল প্রতি ১০০ ডলারের ছুঁয়ে ফেলেছে।


অন্যদিকে ভারত, তার শক্তির চাহিদার প্রায় ৮৬ শতাংশ অপরিশোধিত তেল হিসেবে আমদানি করে। এর ফলে এই সংকটের সময়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলির মধ্যে একটি হতে পারে ভারত। ক্রমবর্ধমান জ্বালানি আমদানি মূল্য দেশের চলতি হিসাবের ঘাটতিকেও প্রসারিত করবে।


১৮-১৯ সালে ভারতের তেল আমদানির খরচ ছিল ১১২ বিলিয়ান মার্কিন ডলার। ১৯-২০ সালে তা কমে হয় ১০১ বিলিয়াম মার্কিন ডলার। এই সময়ে ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৬০.৫ ডলার। ২০-২১ সালে আমদানি খরচ কমে হয় ৬২.২ মিলিয়ান ডলার। সেই সময়ে ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম ছিল ৪৫ ডলার। 


২১-২২ সালের প্রথম ৯ মাসে দেশের তেল আমদানি খরচ হয়েছে ৮২.৪ বিলিয়ান ডলার। এখন ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম ৭৩ ডলার। অর্থাৎ মোদি সরকারের আমলে এই প্রথমবার ১০০ ডলারের উপরে থাকবে ব্যারেল প্রতি অপরিশোধিত তেলের দাম। এরফলে এক লাফে কয়েকগুন বাড়তে চলেছে আমদানি খরচ। আমদানি খরচ সরকারের নিয়ন্ত্রনের বাইরে গেলে তার প্রভাব পরবে মুদ্রাস্ফীতিতে। 


আরও পড়ুন: Russia Ukraine War Live Update: ৫ রুশ যুদ্ধবিমান এবং ১ হেলিকপ্টার গুলি করে নামানোর দাবি ইউক্রেনের


ভারতের সানফ্লাওয়ার তেলের ৭০ শতাংশ আসে ইউক্রেন থেকে। এই তেলের দাম বাড়লে ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধি পাবে। এছাড়াও অপরিশোধিত তেলের দাম বৃদ্ধি পেলে বাড়বে LPG এবং কেরসিন তেলের দাম। 


বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দামও বৃদ্ধি পাবে, যার ফলে গ্রাহকদের জন্য বিদ্যুতের বিল বৃদ্ধি পাবে।


ভারতের জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান গম। এই যুদ্ধের ফলে গমের দামে প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাশিয়া এবং ইউক্রেন উভয়ই দেশই বিশ্বের দুটি বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী দেশ। পৃথিবী জুড়ে গমের মোট উৎপাদনের প্রায় এক চতুর্থাংশ আসে এই দুটি দেশ থেকে।
যুদ্ধের কারণে গমের সরবরাহে ঘাটতি, খাদ্যের দামে তীব্র বৃদ্ধি ঘটাতে পারে। 


অন্যদিকে রাশিয়া প্যালাডিয়ামের বৃহত্তম রপ্তানিকারক। এই ধাতু মোবাইল ফোন থেকে শুরু করে স্বয়ংক্রিয় নিষ্কাশন সিস্টেম পর্যন্ত বিভিন্ন পণ্যে ব্যবহার হয়। নিষেধাজ্ঞার কারণে এই ধাতুর সরবরাহে যে কোনও ব্যাঘাত এই পণ্যগুলির সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যা তাদের দামকে আরও বাড়িয়ে দেবে।   


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)