জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দয়া বা করুণার চেয়ে বড় মানবিক গুণ আর কিছু হতে পারে না। কিন্তু আজকের পৃথিবী কেন এত নিষ্করুণ? কেন এত নিষ্ঠুরতায় ভরা? হয়তো এই সব কারণেই আজকের দিনে বছরের একটি দিন দয়া প্রদর্শনের দিন হিসেবে ধার্য করা ভালো। অন্তত মানুষ মনে করতে পারবেন, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে দয়ার প্রয়োজনীয়তা আছে। তা শুধু বইয়ের পাতার বস্তু নয়। তা জীবনের একান্ত জরুরি উপাদান। নভেম্বর ১৩ হল ওয়ার্ল্ড কাইন্ডনেস ডে। দিনটির একটি থিম থাকে। এদিন থিম-- 'বি কাইন্ড হোয়েনেভার পসিবল'। এই ভাবনাটি দলাই লামার ভাবনা থেকে নেওয়া। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Tonga Earthquake: মহাসমুদ্রে তীব্র মাত্রার ভূমিকম্প, ধেয়ে আসতে পারে ভয়ংকর এক সুনামিও...


১৯৯৭ সালে দিনটির উদযাপনের ভাবনা শুরু। প্রথম বছরের উদযাপন হয় টোকিয়ো শহরে। ১৯৯৮ সালে। কানাডা অস্ট্রেলিয়া নাইজেরিয়া সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে দিনটি পালিত হয়। ২০০৫ সালে ব্রিটেনও এই দিনটি পালন করে। ২০০৯ সালে সিঙ্গাপুরও দিনটি পালন করা শুরু করে। পরে পরে ক্রমশ ২৭টি দেশ এই দিনটি পালনের উদযাপনে অংশ নেয়। মাত্র কয়েকবছর আগে সুইটজারল্যান্ডও দিনটি পালন করা শুরু করে।


দয়া পরম ধর্ম। দয়া প্রদর্শনের জন্য বুদ্ধদেব পৃথিবীতে বিখ্যাত। তাঁকে করুণার অবতার ধরা হয়। দয়া নিয়ে নানা যুগে নানা কাহিনি। নানা সম্রাট নানা সময়ে তাঁদের জীবনে দয়া প্রদর্শন করেছেন। আবার মনে দয়া বা করুণার সঞ্চার ঘটায় মানুষের রূপান্তরও ঘটে। এর সব চেয়ে প্রকৃষ্ট উদাহরণ রাজা অশোক। তিনি চণ্ডাশোক থেকে ধর্মাশোকে পরিণত হয়েছিলেন। আমাদের আধুনিক সময়ে, আমরা বিদ্যাসাগরে দয়ার প্রতিমূর্তি বলে জেনে এসেছি। তাঁকে করুণার সাগরও বলা হত।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)