নিজস্ব প্রতিবেদন— একঘেয়ে জীবনে বিরক্ত হয়ে উঠেছিলেন দুজনে। অফিস আর বাড়ি। এই বাধা গণ্ডিতে থাকতে দম বন্ধ হয়ে আসছি দুজনের। তাই একদিন ঠিক করলেন, এবার চাকরি ছেড়ে বিশ্বভ্রমণে বেড়িয়ে পড়বেন দুজনে মিলে। যেমন ভাবনা তেমন কাজ। রায়ান ওসবার্ন ও এলিনা ম্যানিহেটি স্বামী—স্ত্রী। দুজনেই ঘুরতে ভালবাসেন। তাই বাধা—ধরা জীবনে তাঁদের মন টেকে না। তাই ছোট নৌকা নিয়ে দুজনে বিশ্বভ্রমণে বেরোন। কিন্তু এর মধ্যে যে এত কিছু হয়ে গিয়েছে তা তাঁরা কেউই টের পাননি। ফলে পুরোটা শুনে দুজনে থ। এতদিন ধরে তাঁরা জানতেনই না, করোনা নামের কোনও এক ভাইরাস গোটা দুনিয়ায় তাণ্ডব চালাচ্ছে। তাঁরা দুজন ছিলেন নিজেদের মতো।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ম্যানচেস্টারের বাসিন্দা রায়ান ও এলিনা ক্যারিবিয়ান দ্বীপের একটি ছোট্ট বন্দরে তাঁদের নৌকো ভিড়িয়ে সব জানতে পারেন। ভ্রমণের সময় তাঁরা কেউই পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেননি। ঘুরতে ঘুরতে তাঁরা কোনও খারাপ সংবাদ শুনতে চান না, সেই জন্য পরিবারের লোকজনকেও বলেছিলেন যোগাযোগ না রাখতে। আর তা এতগুলো দিন করোনার প্রকোপ সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানতে পারেননি। ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ দুজনে বিশ্বভ্রমণের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়েন। তার পর থেকে দুজনে ছিলেন গোটা দুনিয়া থেকে আলাদা হয়ে। বিশ্বের কোনও খবরই তাঁরা রাখেননি নাকি!


আরও পড়ুন— ভয়াবহ ভূমিকম্পের আশঙ্কা জাপানে, ফের হতে পারে সুনামি!


এলিনা ইতালির লম্বার্ডি অঞ্চলের মানুষ। ওই অঞ্চলে করোনার প্রকোপ সব থেকে বেশি ছিল। ইলিনা বলছিলেন, ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা আটলান্টিক মহাসাগর থেকে যাত্রা শুরু করেছিলাম। ক্যানারি থেকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দিকে যাত্রা করব বলে একটি নৌকা কিনেছিলেন। করোনাভাইরাস সম্পর্কে সেই সময় খুব একটা জানতাম না। শুনেছিলাম, চিনে একটি ভাইরাসের প্রকোপ বেড়েছে। এটাও শুনেছিলাম, ওই ভাইরাসের প্রকোপ মাসখানেকের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। তবে এই বন্দরে এসে জানতে পারি, ওটার প্রকোপ শেষ হয়নি। সারা বিশ্ব তছনছ করে দিয়েছে এই ভাইরাস। প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালে দুজনে মিলে চাকরি ছেড়ে বিশ্বভ্রমণে বেরনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন এলিনা ও রায়ান।