Titanic Wreckage Footage: আটলান্টিকের তলদেশে ছড়িয়ে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ, প্রকাশ্যে এল বিরল সেই ভিডিয়ো
টাইটানিক তৈরির পর মনে করা হতো ওই জাহাজ কখনই ডুববে না। কিন্তু ইংল্যান্ড থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার পথে আটলান্টিকে এক হিমশৈলে ধাক্কা খায়া গর্বের ওই প্রমোদতরী। ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল রাত দুটো নাগাদ তা ভেঙে পড়ে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হিমশৈলের ধাক্কায় ১৯১২ সালের আটলান্টিকে ডুবে যায় প্রমোদতরী টাইটানিক। জেমস ক্যামেরনের ছবি টাইটানিক-এ ভয়ংকর সেই দুর্ঘটনার সেই দৃশ্য দেখেছে কোটি কোটি মানুষ। শতাব্দীর সবচেয়ে সাড়া জাগানো ওই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান ১৫০০ যাত্রী। দুর্ঘটনার অনন্ত ৭৩ বছর পর আটলান্টিকের তলদেশে চিহ্নিত হয় সেই ধ্ংসাবশেষ। কিন্তু তা দেখতে কেমন? ১৯৮৬ সালে সেই ধ্বংসাবশেষের একটি ভিডিয়ো তৈরি করে মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান উডস হোল ওশেনোগ্রাফি ইনস্টিটিউশন(WHOI)। এবার প্রকাশ্যে এল সেই ফুটেজ।
আরও পড়ুন-ঘুরপথে কুন্তল-মানিক আর্থিক লেনদেন! মিলল সূত্র, দাবি তদন্তকারীদের
আটলান্টিকের অন্তত ৩ কিলোমিটার গভীরে ওই ৮০ মিনিটের ওই আলো আঁধারির ভিডিয়োতে ফুটে উঠেছে এক সময়ের উন্নততম জাহাজের হতশ্রী চেহারা। উডস হোল ওশেনোগ্রাফি ইনস্টিটিউশনের তরফে বলা হয়েছে, ওই ধ্বংসাবশেটি প্রথম খুঁজে বের করে ১৯৮৫ সালের ১ সপ্টেম্বর ডঃ রবার্ট ব্যালার্ডের নেতৃত্বে একটি গবেষক দল। ফের ওই দলটি আটলান্টিকের তলদেশে ধ্বংসস্তূপের কাছে পৌঁছয় ১৯৮৬ সালের জুন মাসে।
টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষের ফুটেজ তৈরি করতে কাজে লাগানো হয় আলভিন নামে এক সাবমার্সিবল যন্ত্রকে। এটিকে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্য়ে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। সেই ফুটেজেই ধরা পড়েছে ক্যাপ্টেনের কেবিন, সমুদ্রের তলদেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ধ্বংসাবশেষ।
ওই ধ্বংসাবশেষের ফুটেজ প্রকাশ্যে আসায় মুখ্ খুলেছেন অস্কার জয়ী টাইটানিক ছবির পরিচালক জেমস ক্যামেরন। সংবাদমাধ্যমে তিনি বলেন, মর্মান্তিক ওই দুর্ঘটনার এক শতাব্দী পর আজও ওই ঘটনা মানুষকে নাড়া দেয়। এই ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পর মানুষ ওই দুর্ঘটনার ভয়াবহতা সম্পর্কে অনেককিছুই জানবে। এর জন্য WHOI-কে ধন্যবাদ।
টাইটানিক তৈরির পর মনে করা হতো ওই জাহাজ কখনই ডুববে না। কিন্তু ইংল্যান্ড থেকে নিউ ইয়র্ক যাওয়ার পথে আটলান্টিকে এক হিমশৈলে ধাক্কা খায়া গর্বের ওই প্রমোদতরী। ১৯১২ সালের ১৫ এপ্রিল রাত দুটো নাগাদ তা ভেঙে পড়ে। মৃত্যু হয় ১৫০০ যাত্রীর। বরাতজোরে বেঁচে যান ৭০০ যাত্রী।