ওয়েব ডেস্ক: অতি রোগা মডেল নিষিদ্ধ হল ফ্রান্সে। আজ থেকে কার্যকর হল নতুন আইন। আইন ভাঙলে ৬ মাসের জেল এবং ৭৫,০০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক আছে কি না, তার জন্য লাগবে ডাক্তারি সার্টিফিকেট।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মাত্র ২৮শেই শেষ হয়ে গিয়েছিল এই মডেলের জীবন। ফ্রান্সের ইসাবেলা কায়রো। রোগা হতে হবে। আরও রোগা। অবশেষে শরীরে বাসা বাঁধে অ্যান্টি অ্যানিরক্সিয়া। হাড্ডিসার চেহারা। ঝরতেই থাকে মেদ। শরীরে তখন শুধুই হাড়। ব্যস।মাত্র ২৮শেই শেষ। ইসাবেলা কায়রোর মতো আর কেউ এভাবে চলে যাক, চায় না ফ্রান্স। তাই কড়া আইন।


মডেল মানেই থিন ফিগার। কখনও তা সাইজ জিরো। এবং শেষমেশ আল্ট্রা থিন। ফ্যাশন দুনিয়ায় এই চরম রোগা মডেলদের চাহিদা প্রচুর। আল্ট্রা থিন মডেল কারা?


যাঁদের বডি মাস ইনডেক্স ১৮-র কম। এঁদের ওজন ১২১ পাউন্ডের বেশি হয় না।


তবে ফ্যাশন দুনিয়ায় চোখধাঁধানো ফিগার ধরে রাখতে গিয়ে অনেকেই পড়েন মারাত্মক অসুখের কবলে। এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সে কারণে অত্যন্ত কড়া পদক্ষেপ করল ফ্রান্স সরকার। রীতিমতো বিল পাস করিয়েই অতি রোগা মডেলে নিষেধাজ্ঞা জারি করল ফ্রান্স।


আইন ভাঙলে ৬ মাসের জেল এবং ৭৫,০০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। শনিবার থেকেই এই নতুন আইন কার্যকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মানুষের শারীরিক উচ্চতা ও বয়স অনুসারে ওজনের যে সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছে, মডেলদের ওজন সেই সীমার মধ্যে আছে কি না, তার ডাক্তারি প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। কম্পিউটারের মাধ্যমে ফটোতে ডিজিটালি কোনও পরিবর্তন আনা হলে আগামী অক্টোবর মাস থেকে সেটা বিজ্ঞাপনে উল্লেখ করে দিতে হবে। 


ফ্রান্সের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বক্তব্য, বিজ্ঞাপনে শীর্ণকায় মডেল ব্যবহার করে সৌন্দর্যের এমন একটি ইমেজ তৈরি করা হয়েছে, তা বাস্তবে হওয়া সম্ভব নয়। এই ধারণা এবং খাওয়া দাওয়ায় অনিয়ম বন্ধ করতেই এই আইনটি তৈরি করা হয়েছে। এর আগে স্পেন, ইজরায়েল ও ইতালিতেও এ ধরনের আইন পাস হয়েছে।