নিজস্ব প্রতিবেদন: সামান্য বালি কুড়িয়ে আনতে গিয়ে যে এমন ফ্যাসাদে পড়তে হবে তা কল্পনাও করতে পারেননি দুই পর্যটক। কিন্তু ভ্রমণ সেরে ফেরার পথে নিরাপত্তারক্ষীর নজর পড়তেই বুঝতে পারেন যে কী মারাত্মক আইনি ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছেন তাঁরা। এখন বাড়ি ফেরা তো দূরের কথা, পরবর্তী এক বছরও বাড়ি ফেরা হবে কিনা সন্দেহ! কারণ, এখানকার আইন অনুযায়ী যে অপরাধ তাঁরা করেছেন তার জন্য ১ থেকে ৬ ছবর পর্যন্ত জেল এবং একই সঙ্গে মোটা টাকা জরিমানাও হয়ে পারে!


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘটনাটি ঘটেছে ইতালির সার্দিনিয়ার দক্ষিণ উপকূলবর্তী এলাকায়। জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহের শেষে এই এলাকায় ঘুরতে আসেন দুই ফরাসি পর্যটক। সার্দিনিয়ার দক্ষিণ উপকূলবর্তী কিয়া বিচে সময় কাটান তাঁরা। ফেরার সময় কিয়া বিচ থেকে ভ্রমনের ‘স্মৃতিচিহ্ন’ হিসাবে কিছুটা বালি বোতলবন্দি করে নেন। কিন্তু পোর্তো টরেসে এক ইতালীয় নিরাপত্তারক্ষীর নজরে পড়ে যায় বিষয়টি। আটক করা হয় দুই পর্যটককে। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় প্রায় ৪১ কিলোগ্রাম বালি যা ১৪টি বোতলের মধ্যে ভাগ করে আলাদা আলাদা ভাবে নিয়ে যাচ্ছিলেন তাঁরা।


আটক হওয়া বালি।

আরও পড়ুন: রয়েছে নিষেধাজ্ঞা, তবুও প্রথা মেনে বিষধর সাপ নিয়ে খেলা চলছে ‘ঝাপান’ উৎসবে


সেখানকার পরিবেশ রক্ষা আইন অনুযায়ী বেআইনি ভাবে সমুদ্রতট থেকে বালি নিয়ে যাওয়ার অপরাধে এই দুই পর্যটকের ১ থেকে ৬ ছবর পর্যন্ত জেল হতে পারে। শুধু তাই নয় জরিমানা করা হতে পারে প্রায় ৩০০০ ইউরো (ভারতীয় মূদ্রায় যা প্রায় ২ লক্ষ ৩৮ হাজার টাকা)। যদিও এই আইন সম্পর্কে তাঁরা কিছুই জানতেন না বলেই দাবি করেছেন ওই দুই ফরাসি পর্যটক। জানা গিয়েছে, ২০১৭-র অগস্ট থেকে সার্দিনিয়ার উপকূলবর্তী এলাকায় এই আইন বলবৎ করা হয়। কারণ, এর আগে পর্যন্ত বহুবার এখানে ঘুরতে আসা পর্যটকরা সমুদ্রতট থেকে বালি, নুড়ি, ঝিনুক কুড়িয়ে নিয়ে যেতেন। পরবর্তীকালে অনলাইনে এগুলি চড়া দামে বিক্রি হতে দেখা গিয়েছে। এ বিষয়ে রোমের জার্মান দূতাবাস থেকেও সতর্ক করে জানানো হয়, আপাতদৃষ্টিতে এটি খুব সাধারণ একটি বিষয় বলে মনে হলেও এই সব ঘটনায় পরিবেশের উল্লেখযোগ্য ভাবে ক্ষতি হচ্ছিল যা পরে আইন করে ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।