ওয়েব ডেস্ক: বরফে ঢাকা একটা রেললাইন। বরফে ঢাকা একটা নির্জন স্টেশন। স্টেশনে প্রতিদিন সকালে থামে একটা ট্রেন। একজন যাত্রী ওঠে। বিকেলে ফিরতি ট্রেনে সেই একজনই নামে। একজন কলেজছাত্রী। একজনের জন্যই একটা স্টেশন। এমনই চলছে গত তিন বছর ধরে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


হোক্কাইডো। জাপানের সবচেয়ে উত্তরের দ্বীপ। চারপাশে রুক্ষ্ম, পাহাড়ি পরিবেশ। ভরা শীতে অবিরত তুষারপাতে ঢেকে গেছে চারপাশ। তারই মাঝখানে তুষারে ঢাকা একটা রেললাইন। সেই শুভ্র তুষারের স্তূপ ছিন্নভিন্ন করে ছুটে চলেছে লাল রঙা  এই ট্রেন। প্রতিদিন সকালে এই রেলপথের জনহীন কামি-শিরাতাকি স্টেশনে থামে এই ট্রেন। তুলে নেয় এক কলেজছাত্রীকে। আবার নামিয়ে দেয় বিকেলে। অনেকদিন আগেই পরিত্যক্ত এই স্টেশন।



তবু  শুধু মাত্র একজন যাত্রীর জন্য কেন এই স্টেশনে থামে ট্রেন? কারণ ছাত্রীটির গ্র্যাজুয়েশন এখনও শেষ হয়নি। অনেকদূরের কলেজে যেতে হয় ওকে। তাতে ট্রেনই ভরসা। তাই  শুধুমাত্র ছাত্রীটির জন্য একটা গোটা স্টেশন চালু রেখেছে বেসরকারি ওই রেল কোম্পানি। এমনটাই চলছে গত তিন বছর ধরে। আর মাত্র কয়েক মাস। তারপরেই গ্র্যাজুয়েট হয়ে যাবে ছাত্রীটি। তখন আর কামি-শিরাতাকি স্টেশনে আর দাঁড়াবে না এই ট্রেন। সেদিন আর দূরেও নয়। আজ থেকে অনেকদিন পর  মানুষের স্মৃতি থেকে মুছে যাবে কামি শিরাতাকি স্টেশন। কিন্তু রয়ে যাবে একটি মেয়ের কাহিনী, যার একার জন্য চালু ছিল একটা স্টেশন। থেকে যাবে রূপকথা হয়ে।