নিজস্ব প্রতিবেদ: কাশ্মীর-সহ পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক কোনও ইস্যুতে তৃতীয়পক্ষের কোনও হস্তক্ষেপ মেনে নেবে না ভারত। সোমবার ফ্রান্সে G7 শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এক বৈঠকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্পষ্ট সে কথা বুঝিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিশ্বের সব থেকে শক্তিশালী দেশের মর্জির সামনে মাথা নত না করে পালটা তাকে ভারতের অবস্থান মানতে রাজি করলেন তিনি। যাতে পাকিস্তান তো বটেই বিপাকে পড়লেন এদেশের বিরোধীরাও। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গত মাসে কাশ্মীরের বিশেষাধিকার প্রত্যাহারের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়েছিলেন পাক প্রেসিডেন্ট ইমরান খান। তখনই কাশ্মীর ইস্যুতে প্রথমবার মধ্যস্থতার ইচ্ছা প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও এব্যাপারে সম্মতি রয়েছে। ট্রাম্পের এই মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় বিরোধীরা। এব্যাপারে সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি তোলে তারা। 


 



স্বাধীনতার পর থেকেই কাশ্মীর-সহ পাকিস্তানের সঙ্গে যাবতীয় ইস্যু দ্বিপাক্ষিক বলে অবস্থান গ্রহণ করে এসেছে ভারত। তবে কি সেই অবস্থান থেকে সরে এল মোদী সরকার? প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা। এই নিয়ে শোরগোলের মধ্যেই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জারি বিবৃতিতে জানানো হয়, মার্কিন প্রেসিডেন্টকে কাশ্মীর মধ্যস্থতা নিয়ে কোনও কথা হয়নি প্রধানমন্ত্রীর। ফলে সম্মতি জানানোর প্রশ্নই নেই। 


এর পরও অন্তত ২ বার কাশ্মীর ইস্যুতে ঢোকার চেষ্টা করেন ট্রাম্প। বলেন, কাশ্মীর সমস্যা ভারত-পাকিস্তান মেটাতে পারছে না। দীর্ঘদিন ধরে এই সমস্যা চলে আসছে। এই সমস্যার মূলে রয়েছে ধর্ম। কাশ্মীরে হিন্দু ও মুসলিম ২ সম্প্রদায়ের মানুষই বাস করেন। তাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই সমস্যার সমাধানে মধ্যস্থতা করতে চায়। 


ট্রাম্পের বারবার মধ্যস্থতার প্রস্তাবেও নীরব ছিল ভারত সরকার। সবার নজর ছিল ২৬ অগাস্টের দিকে। এদিনের বৈঠকে ফের একবার কাশ্মীর নিয়ে ভারতের অবস্থান ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে স্পষ্ট করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বলেন, কাশ্মীর-সহ পাকিস্তানের সঙ্গে যাবতীয় বকেয়া ইস্যু দ্বিপাক্ষিক। অন্য কোনও দেশের এই নিয়ে কোনও কষ্ট করার প্রয়োজন নেই। 


মোদীর সঙ্গে বৈঠকের পর কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রস্তাব থেকে পিছু হঠলেন ট্রাম্প


এদিনের বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে মোদীর সুরে সুর মেলান ট্রাম্পও। বলেন, কাশ্মীর সমস্যা মিটিয়ে নিতে পারবে ভারত ও পাকিস্তান। এই নিয়ে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের কোনও প্রয়োজন নেই। 


সাংবাদিক বৈঠকে মোদী বলেন, অনাহার, স্বাস্থ্যসহ একাধিক বিষয়ে একসঙ্গে কাজ করতে পারে ভারত ও পাকিস্তান। এব্যাপারে পাক প্রধানমন্ত্রী ও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে বার্তা দিয়েছেন তিনি।