ইন্দোনেশিয়ায় সুনামি প্রাণ কাড়ল কমপক্ষে ৩৮০ জনের, আরও বাড়তে পারে মৃত্যুর সংখ্যা
২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে তিনশো ছাড়ালো। জখম হয়েছেন ৫৪০ জন। শুক্রবার দুপুর নাগাদ প্রবল ভূমিকম্পে প্রায় ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস আছড়ে পড়ে সুলাওয়েসি দ্বীপে। পুলু, ডোঙ্গালা শহরের বিস্তৃণ এলাকা সুনামির দাপটে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। সোশ্যাল মিডিয়ার একটি ভিডিও-য় তার নমুনা দেখে গিয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যা সাড়ে তিনশো ছাড়ালো। জখম হয়েছেন ৫৪০ জন। শুক্রবার দুপুর নাগাদ প্রবল ভূমিকম্পে প্রায় ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস আছড়ে পড়ে সুলাওয়েসি দ্বীপে। পুলু, ডোঙ্গালা শহরের বিস্তৃণ এলাকা সুনামির দাপটে বিধ্বস্ত। সোশ্যাল মিডিয়ার একটি ভিডিও-য় তার নমুনা দেখে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এ দিন রিখটার স্কেলে ৭.৫ মাত্রার কম্পণ অনুভূত হয়। যার জেরে তৈরি হয় এই সুনামি। ভূমিকম্প এবং সুনামির জোড়া তাণ্ডবে ধূলিসাত্ হয়েছে কয়েক হাজার বাড়ি। ধ্বংস হয় হাসপাতাল, রেস্তোরাঁ, শপিং মল। জানা যাচ্ছে ধ্বংসস্তুপে আটকে রয়েছে বহু মানুষ। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল ইন্দোনেশিয়া, জারি সুনামি সর্তকতা
ইন্দোনেশিয়ায় প্রধানত পুলু, ডোঙ্গালা শহর উল্লেখজনকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুত সংযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ধস এবং সেতুর ভাঙন ধরায় স্তব্ধ হয়ে পড়েছে যান চলাচলও। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, যখন এক তলা বাড়ি সমান সুনামি আছড়ে পড়ে, সে সময় টের পাননি স্থানীয় বাসিন্দারা। তখনও তাঁরা কাজে ব্যস্ত ছিলেন। ইন্দোনেশিয়ার প্রশাসনের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, মৃতদের বেশিরভাগই উদ্ধার হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকা থেকে। সুনামির জেরেই প্রাণহানির সংখ্যা বেড়েছে বলে জানান ওই আধিকারিক।
শুক্রবার ভূমিকম্পের জেরে এক জনের মৃত্যুর প্রথামিকভাবে খবর ছিল। ডোঙ্গালা শহরে কমপক্ষে ১০ জন আহত হন। এ দিন সন্ধে বেলায় পুলুর সৈকতে উত্সবের তোড়জোড় করছিলেন পর্যটকরা। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো বলেন, উদ্ধারকাজে ইতিমধ্যে হাত লাগিয়েছে সেনা। পুলুর বিমান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে।ইন্দোনেশিয়ার এক মন্ত্রী জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রানওয়ে।
আরও পড়ুন- Video: ইন্দোনেশিয়ায় আছড়ে পড়ল বিশাল সুনামি
উল্লেখ্য, ২০০৪ সালে ভূমিকম্পের জেরে সুনামিতে ইন্দোনেশিয়া-সহ প্রায় ১২টি দেশে ২ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছে। সে সময় রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৯.১।