তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা ব্যর্থ; কমপক্ষে মৃত ২০০, আহত ১১৫৪, গ্রেফতার ১৫০০-র অধিক (ভিডিও)
ফ্রান্সে নৃশংস হত্যালীলার ধাক্কা কাটতে না কাটতেই, এবার রক্ত ঝরাল তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা। আঙ্কারা, ইস্তানবুল সহ একাধিক জায়গায় দফায় দফায় চলল গুলির লড়াই। বিদ্রোহী সেনার একাংশ। তবে কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে তুরস্ক সরকার। ইতিমধ্যে আত্মসমর্পণ করেছে বিদ্রোহীদের একাংশ।
ওয়েব ডেস্ক : ফ্রান্সে নৃশংস হত্যালীলার ধাক্কা কাটতে না কাটতেই, এবার রক্ত ঝরাল তুরস্কে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা। আঙ্কারা, ইস্তানবুল সহ একাধিক জায়গায় দফায় দফায় চলল গুলির লড়াই। বিদ্রোহী সেনার একাংশ। তবে কড়া হাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করে তুরস্ক সরকার। ইতিমধ্যেই প্রায় ২০০-র বেশি সেনা আত্মসমর্পণ করেছে। সেনা-পুলিস সংঘর্ষে এখনও পর্যন্ত কমপক্ষে ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। আহত ১১৫৪ জন। গ্রেফতার ১৫০০-রও বেশি।
ইস্তানবুলে আতাতুর্ক বিমানবন্দর একসময় বিদ্রোহীদের দখলে চলে গেলেও, পরে তা ফের দখলে নেয় সরকারপন্থী সেনাবাহিনী। । মূলত বিমানবন্দর সহ শহরের স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্টগুলিকে টার্গেট করে বিদ্রোহীরা। আঙ্কারায় দেশের সংসদ ভবনের সামনেও বিস্ফোরণ ঘটায় বিদ্রোহীরা। জানা যায়, গোপন ঠিকানায় আশ্রয় নিয়েছেন সাংসদরা। ইস্তানবুলের সেন্ট্রাল তাকসিম স্কোয়ারের কাছেও একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।
তুরস্কের সরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের দখলও নিয়ে নেয় বিদ্রোহী সেনাগোষ্ঠী। বন্ধ করে দেওয়া হয় লাইভ সম্প্রচার। সেনা অভ্যুত্থানের এই চেষ্টার বিরুদ্ধে পথে নেমে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে সামিল হন সাধারণ মানুষ। ইস্তানবুল, আঙ্কারার বহু জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে গন্ডগোল।
বিদ্রোহীরা দাবি করে, দেশের শাসন ক্ষমতা এখন তাদেরই হাতে। সরকারি টেলিভিশন চ্যানেল TRT, থেকে ঘোষণা করা হয় একথা। যদিও সেনা প্রধান কোথায়, তা নিয়ে এখনও ধন্দ কাটেনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জেনারেল হুলুসি আকরকে সেনা হেডকোয়ার্টারেই পণবন্দি করে রেখেছে বিদ্রোহীরা। এই অবস্থায় আপাতত অস্থায়ী সেনাপ্রধান নিযুক্ত করা হয়েছে তুরস্ক সরকারের তরফে।
যদিও তুরস্ক প্রেসিডেন্ট তায়িপ এরডোগান দাবি করেছেন, পরিস্থিতি তাঁদের নিয়ন্ত্রণে। যে বিদ্রোহীরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, তাদের কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারিও শোনা গেছে তাঁর গলায়। প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিমের দাবি, দেশে এখনও নির্বাচিত সরকারই ক্ষমতায় রয়েছে। অভ্যুত্থানের চেষ্টা রুখে দেওয়া হয়েছে। রাজধানী আঙ্কারায় নো ফ্লাই জোন ঘোষণা করা হয়েছে। বিদ্রোহীদের হাইজ্যাক করা কপ্টার দেখলেই, গুলি করে নামানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।অভ্যুত্থান রুখতে সাধারণ মানুষকে পথে নামার আর্জি জানান তুরস্ক প্রেসিডেন্ট।