জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পে এখন ধ্বংসস্তূপ তুরস্ক-সিরিয়ার কয়েকটি শহর। এখনও চলছে লাশ গোনার কাজ। ধ্বংসস্তূপ যত সরছে ততই বেরিয়ে আসছে মৃতদেহ। এখনও পর্যন্ত তুরস্কই উদ্ধার হয়েছে ২৪,৬১৭ দেহ। আহত ৮০ হাজারেরও বেশি। অন্যদিকে, সিরিয়ায় প্রাণ হারিয়েছেন ৫২৭৯ জন। আহত ৫ হাজারেও বেশি। সবেমিলিয়ে দু'দেশে মৃতের সংখ্যা ২৯,৮৯৬। আহত ৮৫,৬১৬ জন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-সোমবার থেকে নামবে পারদ, শীতের বিদায় কবে জানিয়ে দিল হওয়া অফিস


হাড় কাঁপানো ঠান্ডা ও বিপুল ধ্বংসস্তূপের সঙ্গে সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন বিভিন্ন দেশের উদ্ধারকারী দল। যাদের এখনও পর্যন্ত উদ্ধার করা হয়েছে তাদের কাছে প্রধান সমস্য়া হল আশ্রয় ও খাবার। এর মধ্য়েও এখনও ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসছে জীবন্ত মানুষজন। কারামানমারস শহরে ধ্বংসস্তূপ খুঁড়ে উদ্ধারকারী দল বের করেছেন ৭০ বছরের মেনেসকে তাবেককে। বাইরে বেরিয়ে এসেও তিনি বুঝতেই পারছিলেন না তিনি বেঁচে আছেন কিন। তাঁকে তা জানান দিল তীব ঠান্ডা। টানা ১৪০ ঘণ্টা পর হাতয় থেকে উদ্ধার করা হয় ৭ মাসের শিশু হামজাকে। গাজিয়ানটেপ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৩ বছরের এসমা সুলতানকে। অন্যদিকে হাতয় থেকে উদ্ধার হয়েছে ২ মাসের এক শিশু। টানা ১২৮ ঘণ্টা পর তাকে খুঁজে বের করেছেন উদ্ধারকারীরা। শিশুটিকে পেয়েই উল্লাসে ফেটে পড়েন উদ্ধারকারীরা। প্রায় এক সপ্তাহ হতে চলল, এখনও হাজার হাজার মানুষ হন্যে হয়ে খুঁজছেন তাদের আত্মীদের। 


রাষ্ট্রসংঘের একটি হিসেবে অনুযায়ী, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ২ কোটি ৬০ লাখ মানুষ। ৮ লাখ ৭০ হাজার মানুষের এখনই খাবার চাই। তা না হলে ঠান্ডা তো বটেই খাবারের অভাবেই তাদের মৃত্যু হবে। সিরিয়ায় কমপক্ষে ৫০ লাখের বেশি মানুষ গৃহহারা। প্রবল ভূমিকম্পে ক্ষতগ্রস্থ শহরগুলির অধিকাংশ হাসপাতালই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ফলে আহতদের চিকিত্সা হচ্ছে অস্থায়ী ক্যাম্পে। তুরস্ক সরকার কাজে নামিয়েছে ৩২ হাজার উদ্ধারকারীকে। অন্যদিকে, বিভিন্ন দেশ থেকে এসে তুরস্ক ও সিরিয়ায় কাজ করছেন ৮২৯৪ উদ্ধারকারী।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)