দেড় হাজার বছরের পুরনো ঐতিহ্যশালী জাদুঘর হয়ে গেল মসজিদ! সমালোচনার মুখে সরকার
জাদুঘরটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আদালতে আবেদন করছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ।
নিজস্ব প্রতিবেদন- দেড় হাজার বছরের পুরনো জাদুঘর। ঐতিহ্যশালী বটে! কিন্তু সেই বহুপুরনো জাদুঘরটিকেই এবার মসজিদে রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তুরস্কের সরকার। বাইজান্টাইন আমলে নির্মিত হয়েছিল হাজিয়া সোফিয়া জাদুঘর। কিন্তু এবার সেটিকেই মসজিদে রূপান্তরিত করার ঘোষণা করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান। জানা গিয়েছে, এই জাদুঘরটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে আদালতে আবেদন করছিলেন মুসলিম সম্প্রদায়ের কিছু মানুষ। অবশেষে তাঁদের পক্ষে রায় দিয়েছে আদালত।
ষষ্ঠ শতাব্দিতে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের অধিপতি সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ান এই জাদুঘর নির্মাণ করিয়েছিলেন। ওই সময় হাজিয়া সোফিয়া ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় গির্জা। ১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল অটোম্যান সাম্রাজ্যের দখলে গেলে হাজিয়া সোফিয়াকে মসজিদে পরিণত করা হয়েছিল। ১৯৩৪ সালে অটোম্যান সাম্রাজ্যের পতনের পর মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক স্বাক্ষরিত এক ডিক্রিতে মসজিদটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়েছিল। এই হাজিয়া সোফিয়া ইউনেস্কোর ঘোষিত হেরিটেজ প্রপার্টি।
আরও পড়ুন- জঙ্গি নিয়োগ হচ্ছে অনলাইনে, ডিজিটাল পথ খুঁজে নিয়েছে কুখ্যাত ISIS
মে মাসে ইস্তাম্বুল বিজয়ের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান হাজিয়া সোফিয়াতে নামাজ আদায় করেছিলেন। ওই সময় আদালতের রায়ের পরোয়া না করেই তিনি সেটিকে মসজিদে রূপান্তরিত করার ঘোষণা করেন। এর পরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, গ্রিস ও রাশিয়াতে তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয়। কিন্তু এবার তিনি সরকারিভাবে অনুমতি পেয়ে গেলেন। ১৯৩৪ সালের সেই ডিক্রি বাতিল করেছে সেই দেশের আদালত। ফলে আবার হাজিয়া সোফিয়া মসজিদে রূপান্তরিত হবে। তবে ইতিমধ্যে বহু মানুষ তুরস্কের প্রশাসনের সমালোচনা শুরু করেছে। ১৫ জুলাই থেকে ওই জাদুঘরে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ নামাজ আদায় করতে পারবেন।