নিজস্ব প্রতিবেদন: কাজে বেরিয়ে আর ফেরেননি। ইসলামাবাদে সকাল থেকেই নিখোঁজ ভারতীয় হাই কমিশনের ২ কর্মী। এনিয়ে পাকিস্তানে অভিযোগ দায়ের করেছে ভারত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সোমবার সকাল আটটা নাগাদ ভারতীয় হাই কমিশনের ২ কর্মী অফিসের কাজে বাইরে বেরিয়েছিলেন। তার পর থেকে তাদের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। জানা যাচ্ছে ওই দুই কর্মী সিআইএসএফের ড্রাইভার।


আরও পড়ুন-'শুরু করোনা নয়, অন্য চিকিৎসাও চাই', স্থানীয়দের বিক্ষোভে রণক্ষেত্র সাগরদত্ত


উল্লেখ্য, বেশ কয়েকদিন ধরেই ভারতীয় হাই কমিশনের অফিসারদের ফলো করা হচ্ছিল। এনিয়ে প্রতিবাদও করেছিল ভারত। সম্প্রতি ইসলামাবাদে ভারতীয় হাই কমিশনের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স গৌরব আলুওয়ালিয়ার গাড়িকেও ফলো করে আইএসআই। একটি বাইক টানা অনুসরণ করছিল গৌরবের গাড়িকে।



মার্চ মাসে এনিয়ে পাকিস্তান বিদেশ মন্ত্রকের কাছে প্রতিবাদ জানায় ভারত। ওই মাসের ১৩টি ঘটনার কথা উল্লেখ করে পাক বিদেশ মন্ত্রককে বলা হয়, বিষয়টি যেন তদন্ত করে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা করা হয়। তার পরেও এই ঘটনা ঘটল।


গত ১ জুন দিল্লিতে চরবৃত্তি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ে দিল্লির পাক হাই কমিশনের ২ কর্মী। এর দুজন পাক হাই কমিশনের ভিসা বিভাগে কাজ করতেন। তাদের দুজনকে গ্রেফতার করে ইসলামাবাদে ফেরত পাঠানো হয়।


আরও পড়ুন-আজই শেষকৃত্য! পাটনা থেকে মুম্বই পৌঁছেছে সুশান্ত সিং রাজপুতের পরিবার


যে দুই অফিসারকের চর বৃত্তির জন্য হাতেনাতে ধরা হয়েছে তাদের একজন আদিল হুসেন এবং অন্যজন তাহির হুসেন। এরা পাক হাই কমিশনের ভিসা বিভাগে কাজ করতেন। এদের সঙ্গে পাক সেনার সম্পর্ক রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তৃতীয়জন গাড়ির চালক হলেও আইএসআইয়ের হয়ে কাজ করতেন।


আদিল ও তাহির নিজেদের ভারতীয় সেনার ক্লার্ক বলে দাবি করতেন। প্রচার করতেন তাঁরা কাজ করেন ভারতীয় সেন্ট্রাল বোর্ড পোস্ট অফিসে। ওই পরিচয়েই তিনজন দিল্লিতে বসে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ চালাতেন বলে অভিযোগ। এর জন্য পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআইয়ের কাছ থেকে বিপুল টাকাও পেতেন। এদের কাজ ছিল ভারত-পাক সীমান্তে ভারতীয় সেনার গতিবিধির খবর পাচার করা। সেনার এক জওয়ানের সঙ্গে সম্পর্কে গড়ে তুলেছিল। তাঁকে ফাঁদে ফেলার তালেও ছিল এরা।