Climate Crisis: সমস্ত মানবজাতি কি একযোগে আত্মহত্যার পথে এগিয়ে যাচ্ছে?
এমন এক সময়ে গুতেরেস এসব কথা বললেন যখন তীব্র দাবদাহে পুড়ছে ইউরোপ। দাবদাহের জেরে ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি, পর্তুগালে দেখা দিয়েছে দুঃসহ অবস্থা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: জলবায়ুগত সংকট যত স্পষ্ট হচ্ছে, ততই নানা মহল থেকে নানা মন্তব্য শোনা যাচ্ছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ বিষয়টি নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। তারা ইতিমধ্যেই বলে দিয়েছে আগামী আরও ৪০ বছর ধরে এরকম চলতে থাকবে। এর মধ্যে উদ্বেগ বাড়ালেন রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব।
জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সতর্ক করে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বন্যা, খরা, ঝড়, দাবানল বাড়ছে। এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মানবজাতির একটা বড় অংশ চরম বিপদের মধ্যে রয়েছে। জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের অভ্যাস বদলাতে না পারলে কোনো দেশই জলবায়ু পরিবর্তনের এই নেতিবাচকতা থেকে নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে পারবে না।
জার্মানির বার্লিনে রাষ্ট্রসঙ্ঘের উদ্যোগে আয়োজিত ৪০টি দেশের জলবায়ু সম্মেলনে সোমবার আন্তোনিও গুতেরেস এ কথা বলেন। সম্মেলনে অংশ নেওয়া দেশগুলির মন্ত্রীদের আন্তোনিও গুতেরেস বলেন-- আমাদের সামনে দুটি বিকল্প রয়েছে। এর থেকে একটিকে বেছে নিতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তন রোধে হয় আমাদের একযোগে উদ্যোগ নিতে হবে, নয়তো একযোগে আত্মহত্যা করতে হবে!
এমন এক সময়ে গুতেরেস এসব কথা বললেন যখন তীব্র দাবদাহে পুড়ছে ইউরোপের বড় অংশ। যুক্তরাজ্যে তাপমাত্রা রেকর্ড ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছুঁয়েছে। এর পূর্বাভাস ছিলই, তেমনই ঘটল। ব্রিটেনের ইতিহাসে এটিই সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। এছাড়াও দাবদাহের জেরে ফ্রান্স, স্পেন, জার্মানি, পর্তুগালেও দেখা দিয়েছে দুর্বিষহ অবস্থা।
আগামী নভেম্বরে মিশরে বসতে চলেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘের জলবায়ু সম্মেলনের পরবর্তী আয়োজন। দেখা যাক, কী ঘটে সেখানে!
আরও পড়ুন: Edmund Hillary: এভারেস্টে উঠে সেদিন তেনজিংকে কী করতে নিষেধ করেছিলেন এডমন্ড হিলারি?