নিজস্ব প্রতিবেদন: সুদূর দক্ষিণ মেরু থেকে হিমশৈল নিয়ে আসা হবে ‘আরব দেশে'! হ্যাঁ, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর দ্য ন্যাশনাল অ্যাডভাইসর ব্যুরো লিমিটেড ইতিমধ্যে এই কাজে নেমেও  পড়েছে। তাদের দাবি, ২০২০-র মধ্যেই আবু ধাবি- দুবাইয়ের সৈকত তীরে ভাসতে দেখা যাবে হিমশৈল। ফলে, পর্যটকদের আর সুদূর সুমেরু-কুমেরুতে না গিয়ে দুবাইতেই হিমশৈলের স্বাদ মিটবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কিন্তু, শুধুই কি পর্যটনের জন্য এত দূর থেকে বিশাল অর্থ ব্যয় করে হিমশৈলকে নিয়ে আসা? না, তা কিন্তু নয়। আরব আমিরশাহীর এই সংস্থা মনে করছে, হিমশৈল থেকে অফুরন্ত পরিশোধিত পানীয় জলও মিলবে। এজন্য দেশটির জল সঙ্কট এক ধাক্কায় কমে যাবে বলেও দাবি করছে সংস্থাটি।আরও পড়ুন- বিলাসবহুল হোটেলের ঘরে গোপন ক্যামেরা, ভিডিও উঠল যুগলদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের


আর কী কী সুবিধা হতে পারে?   


সংস্থার বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর জলবায়ুতেও পরিবর্তন ঘটাতে পারে এই হিমশৈলগুলি। সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা গেলে এর ফলে বছরে বৃষ্টিপাতের হার বাড়বে বলেও মনে করছেন তাঁরা। সংস্থার প্রধান সুলাইমান অল শেহি জানাচ্ছেন, হিমশৈলের টানে আরবসাগরে মেঘের জমাট বাঁধার সম্ভাবনা থাকছে। যার জেরে বৃষ্টিপাত তো হবেই প্রাকৃতিক উপায়ে আরও বেশি মিষ্টি জল ধরেও রাখা যাবে। আরও পড়ুন- সিনেমার মতো! জেল ভেঙে হেলিকপ্টারে উধাও আসামী!


কিন্তু কীভাবে নিয়ে আসা হবে হিমশৈল?


প্রকল্পের প্রথম ধাপের কাজ শুরু হবে ২০১৯-এর মাঝামাঝি। সংস্থাটি জানাচ্ছে, দক্ষিণ মেরু থেকে হিমশৈল নিয়ে আসা হবে অস্ট্রেলিয়ার পার্থ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউন সৈকতে। সেখানে তাপমাত্রা, স্রোতের গতিপ্রকৃতি অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।


হিমশৈল আনার ক্ষেত্রে কোনও আইনি জটিলতা রয়েছে কি?


সুলাইমান জানাচ্ছেন, আন্তর্জাতিক সমুদ্রআইনে হিমশৈল আনা নিয়ে  জটিলতা তৈরির কোনও সম্ভাবনা নেই। হিমশৈল জলেরই উত্স। এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক বিধি নিষেধের কোনও উল্লেখ নেই। তাছাড়া সংস্থার দাবি, দক্ষিণ মেরুর কোনও মূল হিমবাহ ভেঙে নিয়ে আসা হচ্ছে না। মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ৩ হাজার মাইল দূরে ভেসে থাকা হিমশৈলই নিয়ে আসা হবে।


খরচ কত?


এই প্রকল্পটি যে খরচসাপেক্ষ তা আগেই স্পষ্ট করেছে সংস্থাটি। কিন্তু খরচের পরিমাণ কোন জায়গায় গিয়ে পৌঁছবে, তা এই মুহূর্তে বলতে পারছেন না সুলেইমান। তিনি বলেন, “হিমশৈলের আকার অনুযায়ী বহন খরচ নির্ভর করবে।  প্রাথমিকভাবে ৫ কোটি ডলার খরচের অনুমান করা হচ্ছে। তবে, ১০.২০ কোটি ডলার পর্যন্ত খরচ পৌঁছাতে পারে এমন আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছে না ওই সংস্থা।