নিজস্ব প্রতিবেদন: ব্রেক্সিট চুক্তির সময়সীমা বাড়াতে সক্ষম হয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আগেই পদত্যাগ করলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মে। ইস্তফা দেওয়ার সময় বিবৃতি দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙেও পড়লেন তিনি। মে বলেন, “আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু শেষমেশ পারলাম না।” তিন-তিন বার ব্রেক্সিট প্রস্তাব পার্লামেন্টে তোলা হয়। প্রতি বারই খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এ বার ব্রেক্সিট আলোচনা হওয়ার আগে মে-কে সরানোর চাপ তৈরি হয় প্রবলভাবে। কনজারভেটিভ দলের একাংশ দাবি জানিয়েছিলেন, স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করুন টেরেসা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING


জানা যাচ্ছে, নয়া প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবেন টেরেসা মে। এ দিন তিনি বলেন, আশা করি দেশের স্বার্থেই কাজ করবেন নয়া প্রধানমন্ত্রী। মে-র জায়গায় জনপ্রিয় নেতা বরিস জনসনকে বসানো হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে। উল্লেখ্য, ইউ ছেড়ে বেরিয়ে আসার পক্ষে বরাবরই সওয়াল করে এসেছেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। এর জন্য দলের মধ্যে প্রবল চাপও তৈরি হয়। একের পর এক কনজারভেটিভ নেতা ইস্তফা দেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়ে গিয়েছেন তিনি।


আরও পড়ুন- সিন্ধে এইচআইভির শিকার শিশু-সহ শয়ে শয়ে মানুষ, মহামারীর আতঙ্ক ছড়াচ্ছে পাকিস্তানে


মে-র পদত্যাগে তাঁরই মন্ত্রিসভার সদস্যরা স্বাগত জানিয়েছেন। মন্ত্রী অম্বর রুড জানান, সাহসিকতার পরিচয় দেখিয়েছেন মে। তিনি একজন জনগণের প্রতিনিধি। আপ্রাণ চেষ্টা করেছেন ব্রেক্সিট প্রস্তাব পাশ করাতে। বিদেশ সচিব জেরেমি হান্ট বলেন, তিনি একজন সত্যি করে ‘পাবলিক সার্ভেন্ট’। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে নিজস্ব অর্থনীতিতে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে ২০১৬ সালে ২৩ জুন গণভোটের মাধ্যমে ব্রেক্সিট সিদ্ধান্ত নেয় ব্রিটেন। চলতি বছর ২৯ তারিখ পর্যন্ত ছিল ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার শেষ সময়সীমা। ইইউ-র আধিকারিকদের সঙ্গে একাধিক বার আলোচনা করে সে সময়সীমা বাড়িয়ে ১২ এপ্রিল করা হয়। এ দিকে পার্লামেন্টে ব্রেক্সিট প্রস্তাব পাশ করানোর আপ্রাণ চেষ্টাও চালিয়েছেন মে। সম্প্রতি ব্রাসেলসের বৈঠেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময়ের আর্জি করেছিলেন তিনি। কিন্তু তার আগেই প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ‘এগজিট’ করলেন টেরেসা মে।