নিজস্ব প্রতিবেদন: শুক্রবারই ব্রিটেনের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে ব্রিটিশ নাগরিকদের অবিলম্বে ইউক্রেন ত্যাগের নির্দেশ দিয়েছে। একই ঘোষণা করেছে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস। লাটভিয়া সরকারও ইউক্রেনে অবস্থিত তাদের নাগরিকদের সতর্ক করে বিবৃতি দিয়েছে। সব চেয়ে বড় কথা, একই নির্দেশ দিয়েছে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রও। তা ছাড়া, মার্কিন প্রেসিডেন্টের এক বক্তব্যে বিষয়টি আরও ঘোরালো হয়ে দাঁড়িয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাইডেনের বলেছেন-- ইউক্রেনে বসবাসকারী আমেরিকার নাগরিকদের অবিলম্বে ওই দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া উচিত। বাইডেন কেন হঠাৎ এ কথা বললেন তা নিয়েও শুরু হয়েছে নতুন চাপানউতোর। সংশ্লিষ্ট মহলের অনুমান, তা হলে কি বাধতে চলেছো যুদ্ধ?


বাইডেন জানিয়েছেন, বিশ্বের বৃহত্তম সেনাবাহিনীর সঙ্গে মোকাবিলা করছি আমরা। পরিস্থিতি যে কোনও মুহূর্তে যে কোনও দিকে যেতে পারে। তাই ইউক্রেনে বসবাসকারী আমেরিকানদের সে দেশ ত্যাগ করাই শ্রেয়। বাইডেন অবশ্য এ-ও পরিষ্কার করে দিয়েছেন যে, কোনও ভাবেই ইউক্রেনে সেনা পাঠাবে না আমেরিকা। সেটা যদি রাশিয়ার আক্রমণের পরে সে দেশে বসবাসকারী আমেরিকানদের উদ্ধারের জন্যও দরকার হয়, তা-ও নয়। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের ব্যাখ্যা-- যদি আমেরিকা ও রুশ সৈন্য একে অপরের দিকে আক্রমণ শানাতে শুরু করে, তবে আমরা এক ভিন্ন পৃথিবী দেখব। একে তিনি আর একটি বিশ্বযুদ্ধের মতো পরিস্থিতি বলেও মন্তব্য করেন।


উল্লেখ্য, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া প্রায় দেড় লক্ষ সেনা পাঠানোর পর শুরু হয়েছে আর এক 'ঠান্ডা যুদ্ধ'। প্রথমে আলোচনার মাধ্যমে দু'পক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করে ফেলার কথা বললেও রুশ সেনা বাহিনী এখনও অকুস্থল থেকে পিছু না হঠায় হুঁশিয়ারি দিয়েছে আমেরিকা। ইউক্রেনকে কেন্দ্র করে তাই রাশিয়া ও আমেরিকা-সহ পশ্চিমের দেশগুলির মধ্যে প্রকারান্তরে এক ঠান্ডা যুদ্ধই শুরু হয়েছে বলে মত সংশ্লিষ্ট মহলের।


Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)


আরও পড়ুন: Life After Death: আত্মার অস্তিত্ব আছে? কী বলছেন বিজ্ঞানীরা?